শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩০ সকাল
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে শোকের মাতমে তাজিয়া মিছিল শুরু

নিউজ ডেস্ক: হিজরির সাল অনুসারে ১০ মহরম তথা আশুরা মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের দিন। ঘটনাবহুল এই দিনে বর্তমান ইরাকের অন্তর্গত কারবালা প্রান্তরে মুয়াবিয়ার হাতে শহীদ হন হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন। এদিন সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে আশুরা।

এ উপলক্ষে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের করেছে শিয়া মতাবলম্বী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পুরো রাজধানী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল। একই সঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, পল্টন, মগবাজার থেকেও আশুরার মিছিল বের হয়।হোসেনী দালানের চারপাশেই রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। পোশকধারী র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এদিকে, তাজিয়া মিছিল শুরুর পর মিছিলের সামনে ও পেছনে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

হোসনি দালান থেকে বের হওয়া মিছিলে অংশ নেন হাজারো মুসল্লি। মিছিল থেকে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ স্লোগানে মাতম করতে দেখা যায় যুবকদের।

এ মিছিল থেকে মূলত কারবালার ঘটনার শোকাবহ দৃশ্যায়ন করা হয়। মিছিলে বুক চাপড়ে, মাতম করে শোক প্রকাশ করেন শিয়া ধর্মাবলম্বীরা।

২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর আশুরা উপলক্ষে হোসনি দালানে শোক মিছিলের প্রস্তুতিতে গ্রেনেড বোমা চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই ঘটনার পর থেকে তাজিয়া মিছিলে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করে আসছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এবারও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় রাখতে চায়নি পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইমামবাড়া সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক দর্শনার্থীর দেহ তল্লাশী করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করানো হচ্ছে। পুলিশ ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হয়েছে।

তাজিয়া মিছিলের আগে, মাঝে, পাশে ও পেছনে নেয়া হয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শোক মিছিলের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীর বড় কাটারা ইমামবাড়া, খোজা শিয়া ইসনুসারী ইমামবাড়া এবং বিবিকা রওজাতেও নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মিছিলের শুরুতেই দুটি কালো গম্বুজ বহন করা হয় বিবি ফাতেমার স্মরণে। এ ছাড়াও মিছিলের অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন নিশান নিয়ে আসেন।

হোসনি দালানের সুপারিনটেনডেন্ট এম এম ফিরোজ হোসাইন বলেন, পবিত্র আশুরা পালিত হচ্ছে রাজধানীসহ দেশব্যাপী। আশুরার পবিত্রতা রক্ষা, উদযাপনে শৃঙ্খলা রক্ষায় দেশবাসীর সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

তিনি বলেন, এবার তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ৩০০ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। এর পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে র্যাব, পুলিশের ৫ শতাধিক সদস্য। আশা করছি, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে তাজিয়া মিছিল।

দুপুর ১টার মধ্যে তাজিয়া মিছিল শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। মিছিলটি হোসনি দালান থেকে ধানমন্ডি লেকে স্থাপিত প্রতিকী কারবালায় গিয়ে শেষ হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়