শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৩২ দুপুর
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : নানা প্রতিকুল ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে যাওয়া দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপিও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের তিনশ আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে দলটি কয়েকটি জরিপও শেষ করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বর্তমানে দলটির সিনিয়র নেতারা নানানভাবে পর্যালোচনা করছেন। তাদের পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অথবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

দলের হাই কমান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়বেন দলের চূড়ান্ত প্রার্থীরা। এরই মধ্যে তারেকের নির্দেশনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তিনশ আসনের মধ্যে গুরুত্বের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে সিলেট জেলার মোট ৬টি নির্বাচনী আসন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত সিলেট থেকে এবারের নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফসল ঘরে তুলতে চায় বিএনপি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের বিভিন্ন আসনের পাশাপাশি সিলেট ১ আসন নিয়ে বিএনপিতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এক সময় এ গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে দলটির সিনিয়র নেতা ও সফল অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বিএনপির নির্ভরযোগ্য প্রার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর পর সকল হিসেব-নিকেশ বদলে গিয়ে এখন আসনটিতে যোগ্য প্রার্থী সংকটে পড়েছে দলটি। সাইফুর রহমানের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকাই এ সংকটের মূল কারণ।
সূত্র জানায়, বর্তমানে সিলেট ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও আলোচিতদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনাম আহমেদ চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। অপরদিকে আসনটিতে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মুহিত গত দুইটি জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন একই সঙ্গে তার দল আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, যেকোনোভাবেই সিলেট ১ আসনে সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত হেভিওয়েট প্রার্থী। তাই এ আসনটিতে মুহিতের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হতে হলে বিএনপিকেও হেভিওয়েট জনপ্রিয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি মাল মুহিতের সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে হলে সিলেট ১ আসনে জিয়া পরিবার থেকে কাউকে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের প্রধান দাবি যদি আইনী বাধা ডিঙ্গিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারেন তাহলে তাকে এ আসনে নির্বাচন করতে হবে। যদি আইনী বাধায় খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন তাহলে জিয়া পরিবারের সদস্য ও সিলেটের সন্তান ডা. জোবায়দা রহমানকে নির্বাচনে চান তারা।

অন্যদিকে সিলেট ৬ আসন হচ্ছে বর্তমান সরকারের দুই দুইবারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্বাচনী এলাকা। বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। এলাকাটিতে রয়েছে কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড। এছাড়াও অন্যান্য খনিজ সম্পদের জন্য এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ।

সিলেট ৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক নেতা আলোচনায় রয়েছেন। এর মধ্যে দলের সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের শামীম, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা হেলাল খান ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা ফয়সল আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যরা।

এর মধ্যে শামীমের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি পদ পাওয়ার পর থেকে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দলে কোন্দল ও গ্রুপিং বেড়েছে। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনেও দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। এর আগে সিলেট সদর উপজেলা থেকে তিনি দুইবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে যান। অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের ছত্রছায়ায় জেলা সভাপতি শামীম নিজের পাল্লা ভারী করতে ঐক্যর বদলে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ-বিভাজন তৈরি করছেন। ইতোমধ্যেই ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষে তিনজন ছাত্রদল নেতার প্রাণ ঝড়ে পড়েছে। সর্বশেষ আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার রাতে (গত ১১ আগস্ট) বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতা ফয়জুল হক রাজুকে প্রতিপক্ষ ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অপরদিকে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার দেশের সবচেয়ে বেশি কওমী মাদরাসা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় জাসাস সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা হেলাল খানও স্থানীয় জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। এলাকার মানুষ ধর্মপ্রাণ ও ধর্মভীতু হওয়ায় তারা চান তাদের জনপ্রতিনিধিও হবে ধর্মপ্রাণ। এদিক বিবেচনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন মাওলানা রশীদ আহমদ।

এ্যাডভোকেট রশীদ আহমদ দীর্ঘ প্রায় বিশ বছরব্যাপী গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এলাকায় বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তার ছোট ভাই অহিদ আহমদ লন্ডনের সর্বাধিক বাংলাদেশী অধ্যূষিত এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত।

মাওলানা রশীদ ২০০৯ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নির্বাচনে ভোররাতের দিকে বিতর্কিতভাবে তাকে স্বল্পসংখ্যক ভোটে পরাজিত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই রশীদ আহমেদ শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হযে বিএনপিতে যোগ দেন। তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে বিএনপির তৎকালীণ সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে নিখোঁজ ইলিয়াস আলী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে তাকে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার এলাকার দায়িত্ব দেন। তিনি বিগত সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমান জেলা কমিটির তিনি উপদেষ্টা সদস্য। মাওলানা রশীদ আহমদ সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসার অধ্যাপক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার কওমী মাদরাসা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে সারাদেশে পরিচিত। উপজেলা দুটোতে প্রায় সাড়ে তিনশ‘রও বেশি কওমী মাদরাসার অবস্থান। কওমী মাদরাসা ঐতিহাসিককাল থেকেই জামায়াত বিদ্বেষী। এ আসনটি ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী আদর্শের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। অথচ কোনো রহস্যজনক কারণে বিগত দুইটি জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোট থেকে ওই আসনে জামায়াতে ইসলামীকে প্রার্থী করা হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দুই নির্বাচনেই জামায়াতের প্রার্থী তৃতীয় স্থান লাভ করে। এ নিয়ে বিএনপির তৃণমূল নেতাকমীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আছে নানা হতাশা। দীর্ঘ ২১ বছর এখানে ধানের শীষ প্রতীক নির্বাচনের মাঠে না থাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তারা আগামী নির্বাচনে শরীক নয়, বিএনপির প্রার্থী চান। এবার তারা কিছুতেই জামায়াতকে ওই আসনে ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা বিএনপির হাই কমান্ড স্থানীয় নেতাকর্মীদের মনোভাব বুঝতে পেরে আর ভুল না করে নিজ দলীয় প্রার্থীকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেবে। সেক্ষেত্রে এলাকায় অবস্থানকারী নেতা হিসেবে এ্যাডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদই স্থানীয় নেতাকর্মীদের অন্যতম পছন্দের প্রার্থী।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বৃহত্তর সিলেটের ১৯টি নির্বাচনী আসনই আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনে বিএনপি তথা বিশদলীয় জোটের প্রার্থীরা এর সবগুলোতেই বিজয়ী হবে। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে জোটের স্বার্থে জামায়াতকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন সময় আমি এসব এলাকায় সাংগঠনিক সফর করেছি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মনোভাব আমি দেখেছি। তারা চায় না এখানে দলের বাইরে কোনো প্রার্থী দেয়া হোক। আশাকরি এ আসনে আমাদের দলীয় প্রার্থীই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

মাওলানা রশীদ আহমদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তিনিও একজন যোগ্য প্রার্থী। নেতাকর্মীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে। তিনি দলের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। যা প্রশংসার দাবিদার।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, সিলেট ৬ আসনে যেসব নেতা কাজ করে যাচ্ছেন, তারা দলের মনোনয়ন চাইতেই পারেন। প্রার্থী বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন দলের চেয়ারপারসন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলের সিনিয়র নেতারা। জীবন বলেন, তৎকালীন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলী সিলেট ৬ আসনে জোটের নয় বিএনপির প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন। সেজন্য বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে দলীয় প্রার্থী হিসেবে এ্যাডভোকেট রশীদ আহমদকে বিএনপিতে সক্রিয় করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও মাওলানা রশীদের সু-সম্পর্ক রয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি প্রবীণ নেতা শেখ মখন মিয়া বলেন, এ্যাডভোকেট রশীদ আহমদ একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তার পরিবার সম্পূর্ণভাবে জাতীয়তাবাদী। তার জনপ্রিয়তা দেখে তৎকালীন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী তাকে বিএনপিতে যোগদান করিয়ে জেলা বিএনপির সহসভাপতি নির্বাচিত করান। রশীদের বাবাও নিজ এলাকা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯ সালে রশীদ নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন। তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেও সরকার কারসাজি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল আহমেদ চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর থেকে রশীদ আহমেদের জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়তেই থাকে। তিনি নিরলসভাবে এ দুই উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে তাকে আমাদের দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হোক দলের কাছে এটাই আমার দাবি।

বিশদলীয় জোটের নেতা খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মজদ্দুদিন আহমেদ বলেন, সিলেট ৬ আসন আমারও নির্বাচনী এলাকা। এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে এমন একজন প্রার্থী দেয়া উচিত যাতে সর্বস্তরের জনগণ তাকে মেনে নেয়। এলাকাটি আমাদের কওমী অধ্যূষিত। এখানকার জনগণ জামায়াত বিরোধী। সার্বিক বিচেনায় মাওলানা রশীদ আহমদ যোগ্য প্রার্থী। তাকে বিএনপি ও জোটের প্রার্থী দেয়া হোক। এটাই আমার দাবি।

বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর এই তিন উপজেলা নিয়ে সিলেট ২ নির্বাচনী আসন। আসনটি বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত। দলের নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর অবর্তমানে এখানে তার সহধর্মীনি তাহসিনা রুশদী লুনাই বিএনপির একক প্রার্থী। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এখনও ইলিয়াস আলীকেই একক নেতা মেনে তার স্ত্রীর পাশে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। সেক্ষেত্রে এখানে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য কোনো নেতা তেমন নেই বললেই চলে। তবে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোট সঙ্গী খেলাফত মজলিস এ আসনে বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দেয়ার পক্ষপাতি নয়। জোটগতভাবে তাদের প্রার্থী এখানে মনোনয়ন না পেলেও আসনটিতে খেলাফত মজলিস নিজেদের প্রার্থী দেবে বলে দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের বলেন, সিলেট ২ আসনে আমরা দলীয় প্রার্থী দেব। দলের যুগ্ম মহাসচি মু. মুনতাসির আলীকে আমরা সেখানে প্রার্থী মনোনীত করেছি। জোটের না হলে আমরা আসনটিতে ওপেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের কিছু অংশ নিয়ে সিলেট ৩ নির্বাচনী আসন। আসনটিতে সাবেক সংসদ সদস্য শফী আহমেদ চৌধুরী, সাবেক যুবদল নেতা এমএ কাইয়ুম চৌধুরী, লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম, সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এর মধ্যে শফী চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ তিনি বিগত সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে চরম নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছেন। সেদিক থেকে বর্তমানে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এমএ কাইয়ুম চৌধুরী স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্টজনদের একজন কাইয়ুম চৌধুরী নেতাকর্মীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। অন্যান্যরাও মাঝে মাঝে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তবে দেখার বিষয় দল কাকে আসনটিতে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়