শিমুল মাহমুদ : রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মিডিয়ার হাত বেধে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের রাজনৈতিক কৌশলে যদি হয় বিরোধী রাজনীতিক দল থাকতে পারবে না, মিডিয়া থাকতে পারবে না,স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকতে পারবে না, তা হলে গণতন্ত্র থাকছে কোথায়?
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ভূমিকা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন, মোঃ মজিবুর রহমান চৌধুরী, সঞ্চালক এম জাহাঙ্গীর আলম।
নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে, রাজনীতিক দল, সুশীল সমাজ, লেখক,সাংবাদিক সবাই এ বিষয়ে পতিবাদ করেছে, কিন্তু কোন কাজ হয়নি আইন পাস হয়ে গেছে। অর্থাৎ আবারো স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার হারালো।
তিনি বলেন, যদি মিডিয়া না থাকতো আমরা বহু মানুষের অন্যায়,অনাচার দেখতে পেতাম না বা জানার সুযোগও হতো না।এমনকি আমাদের বহু আন্দোলন সফল হতো না। আজকে সেই মিডিয়ার হাত বেধে দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন সরকাররের ক্ষমতা ছাড়া কিছুই থাকছে না।
আইন প্রশাসনের অধীনে নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী সকল বিচারক এক মত হয়ে বাতিল করলেন অথচ সে রায়ে কিছু মন্তব্য করার জন্য প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি একটা বই লিখেছেন, বইয়ের কথা গুলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রমান করে না। প্রমান করে সরকার এবং তার দলের লোকেরা বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। অর্থাৎ ৭৫ সালে আইন করা হয়েছে আর এখন করা হচ্ছে কৌশলে।
সরকারের নতুন কায়দায় সফল হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারের নতুন কায়দায় হলো যখন একটা আন্দোলন সফল হওয়ার পথে তখন আরেকটা ইসু শুরু করে যাতে একটা রেখে আরেকটা নিয়ে দৌড়াতে হয়। তবে তা সফল হবে না। বেগম জিয়াকে আটক করে রেখেছে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। তারেই পেক্ষিতে সরকার তারেক রহমানকে গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে জড়িয়ে রায় দিতে যাচ্ছে। এতে সরকারে কোন কাজ হবে মানুষ দেখতে দেখতে এখন সব বুঝে গেছে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পরে গেছেন, তার বাম হাত, বাম পা পঙ্গু হয়ে পরেছে। তিনি হাটতে পারেন না চলতে পারেন না। তার চোখের অবস্থা এতো খারাপ হয়ে গেছে চিকিৎসা না নিলে তিনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। এতো কিছু জানার পরও মায়ের জাত আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোন উদ্যোগ নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি।
তিনি বলেন আপনাদের হিংসা চরিতার্থ তাকে জেলে দিয়ে শাস্তি দেওয়া তা তো হয়েছে।কিন্তু তাকে বিনা চিকিৎসা মরে যাবার অপরাধ তিনি করেননি। আপনারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, শত্রু নন। আমরা দেশকে ভালোবাসি বলেই রাজনীতিতে এসেছি। তাই অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার করার দাবি জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :