আরমান কবীর সৈকত, টাঙ্গাইল : ক্যান্সারে আক্রান্ত টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. তাওহিদুজ্জামান রানার চিকিৎসার জন্য তার মায়ের হাতে অর্থ তুলে দেন মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ।
বুধবার মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ রানার বাড়িতে গিয়ে রানার মা রেখা বেগমের হাতে ৮৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, আওয়ামী লীগ নেতা ছানোয়ার হোসেন, মহেড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর আসিফ অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাজেদুর রহমান মনির, আবু রায়হান, দপ্তর সম্পাদক যুবরাজ মিয়া, মির্জাপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মীর মাহমুদল হাসেল পায়েল, ভাওড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক আলী আজগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রানার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল শাহজালাল (র.) মেডিকেল ইনস্টিটিউশন থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পাস করা তাওহিদুজ্জামান রানা উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি উপজেলার মহেড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। রানার বড় দুই বোন রয়েছে। এক বোনের বিয়ে হয়েছে। সংসারে রানার বড় এক বোন ও মা-বাবা রয়েছেন।
বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। গ্রামে গ্রামে গিয়ে পশুচিকিৎসা করে যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার চালাতে হয়। এর মধ্যে ছেলের গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ায় আয়-রোজগার বন্ধ করে ছেলের সঙ্গে ভারতের হায়দরাবাদে রয়েছেন। একদিকে সংসার চালানো অন্যদিকে ছেলের চিকিৎসা সব মিলিয়ে রানার পরিবার এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। তাওহিদুজ্জামান রানা বর্তমানে গলায় ও ঘাড়ে ক্যান্সারে ( লিস্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে ভারতের হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তাকে পর্যায়ক্রমে ৮টি ক্যামো থেরাপি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যামোতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হবে। সে হিসাবে তার ৮টি ক্যামো-থেরাপির জন্য ১৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া থাকা খাওয়া ও ওষুধ বাবদ আরও টাকা প্রয়োজন বলে রানার বড় বোন আশরাফুন্নাহার জানিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রানার খবর শুনে মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর আসিফ অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাজেদুর রহমান বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। পাশাপাশি বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবগত করেন। এছাড়া মির্জাপুরের এমপি একাব্বর হোসেন ৫০ হাজার, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন ব্যক্তিগতভাবে ২৫ হাজার টাকা এবং বিভিন্নজনের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছেন।
রানার মা রেখা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ যুদ্ধ করে চলছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। রানা সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসুক এই কামনা করি।সবার কাছে রানার জন্য দোয়া করার অনুরোধ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :