রবিন আকরাম : সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা বলেছেন, সবার জন্য ‘নিপীড়ক দানব’ হিসেবে দেখা দিবে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’।
বুধবার চ্যানেল আই এর ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
গোলাম মোর্তোজা বলেন, পরিচয় সাংবাদিক হলেও, সংবাদিকতা তো সকলেই করেন না, অনেকেই সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করেন। তারা বলতেই পারেন ‘আমি মনে করি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ মুক্ত গণমাধ্যমের অন্তরায় হবে না। ৫৭ ধারার সময়ও তারা ইনিয়ে- বিনিয়ে এমনটাই বলেছিলেন।
তিনি বলেন, জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’। এখন ‘কবি’র স্থানে ‘সাংবাদিক’ বসিয়ে দিলে বাক্যটি সম্ভবত আরও প্রাসঙ্গিক হয়।
সিনিয়র এই সাংবাদিক বলেন, যারা সাংবাদিকতা করেন বা করতে চান শুধু তারাই নন, স্বাধীন মত প্রকাশে বিশ্বাসী মানবাধিকার বা রাজনৈতিক নেতা- কর্মী, সবার জন্যে ‘নিপীড়ক দানব’ হিসেবে দেখা দিবে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিকসহ অংশীজনদের আপত্তি উপেক্ষা করে এবং ৩২ ধারা বহাল রেখেই (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল। এই বিলের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ৩২ ধারায় বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টের আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওযার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৩২ (২) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা-১-এ উল্লেখ করা অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটন করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :