শিরোনাম
◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয়  ◈ চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে তিন দিন লাগতে পারে: রেল সচিব

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০১:৩৫ রাত
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০১:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এস কে সিনহার ‘স্বপ্ন ভঙ্গ’

আসিফুজ্জামান পৃথিল : সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বর্তমানে প্রবাসে অবস্থান করছেন। বিদেশে বসেই তিনি একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। প্রকাশিত বইটির নাম, ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম, রুল অফ ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’। বাংলা করলে বইটির শিরোনাম দাঁড়ায় ‘একটি ভাঙা স্বপ্ন: আইনের শাষণ, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র।

বইটির মুখবন্ধে সিনহা বলেছেন, বিচারবিভাগ একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের সংবিধানে গণতন্ত্রকে নিজেদের অন্যতম মূলভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এই সংবিধান নির্বাহি বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকিকরণ নিশ্চিত করে। একই সাথে সাংবিধানিকভাবে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মুখবন্ধে সিনহা নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে গিয়ে জানান, তিনি ১৯৭৪ সালে সিলেটের নি¤œ আদালতে আইনপেশার মাধ্যমে বিচার বিভাগে নিজের পেশাজীবন শুরু করেন। তার পেশাজীবন শেষ হয়েছে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদ প্রধান বিচারপতির পদে আসিন থেকে। এজন্য তিনি গর্বিত। তার দেয়া ভাষ্যমতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য একটি যুগান্তকারী রায় দেবার ‘অপরাধে’ তিনি সরকারের চক্ষুশূল হন। তিনি অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাশীন সরকার তাগে পদত্যাগে বাধ্য করে এবং নির্বাসনে পাঠায়।

সিনহা বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করতে চাননি। তার সাথে কথা না বলেই সরকারের মন্ত্রীরা বারবার বলেছেন তিনি চিকিৎসা ছুটি নিয়ে বিদেশে যাবেন। তবুও তিনি নিজ নীতির পক্ষে অনড় ছিলেন। সর্বশেষ একটি বড় অভিযোগের মাধ্যমে মুখবন্ধ শেষ করেছেন সিনহা। তিনি বলেছেন, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ক্রমাগত তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এ কারণেই দেশত্যাগ করেন তিনি এবং বিদেশ থেকেই পদত্যাগ করেন।

এদিকে বইটি নিয়ে এসকে সিনহার সততা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার একটি বই বের হয়েছে দেখলাম। বইটির ‘মুখবন্ধ’ এবং প্রচ্ছদ অনেকে প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এনিয়ে আবার অনেকের মাঝে উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। এমন উচ্ছাস অনেকের মাঝে দেখেছিলাম যখন তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। তখনো আমি বলেছিলাম, দুর্নীতিবাজরা কখনো শক্ত অবস্থান নিতে পারে না।’

নোমান, এসকে সিনহাকে আওয়ামী লীগ সমর্থক উল্লেখ করে লেখেন, ‘বাবু সুরেন্দ্র কুমারকে আমি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি থেকে দেখছি। খুব কাছে থেকে প্রতিদিন বিচারালয় পর্যবেক্ষণ করতাম। সংবাদের খোঁজে আদালত ভবনে যাতায়াত ছিল নিয়মিত। তখন থেকে জানি তিনি একজন গোড়া আওয়ামী লীগার। পাশাপাশি তাঁর দুর্নীতির বিষয় গুলো আইনজীবীদের মুখে মুখে প্রচারিত ছিল।’

এছাড়াও নোমান এসকে সিনহার বিচারিক যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি এর উদাহরণ হিসেবে দ-প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী এবং কাদের মোল্লার বিচারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তার মতে এই দুই জনের বিচারিক কার্যক্রম এস কে সিনহা আইন সম্মতভাবে পরিচালিত হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়