শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৫৮ সকাল
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা রাখার সুপারিশ

ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারি চাকরিতে প্রবেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করার সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে (৯ম ও ১০ম গ্রেড) কোনো ধরনের কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে সরকার গঠিত কমিটির সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার একদিনের মাথায় সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশ এল।

কমিটির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মো. হাবিবে মিল্লাত, শেখ হাফিজুর রহমান, আব্দুল মতিন, লুৎফা তাহের ও সৈয়দা সায়রা মহসীন অংশ নেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবদিকদের বলেন, আইনে প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় চাকরিতে বিশেষ সুবিধা দেয়ার কথা রয়েছে। আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করা যাবে না। প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করলে আইনের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত, এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

এদিকে সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে হিজড়া সম্প্রদায়ের পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার বলে জানানো হয়। কমিটি এসব হিজড়াকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে শিশু হিজরাদের উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান, যুবা হিজড়াদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক সহায়তা প্রদান, প্রবীণ হিজড়াদের বিশেষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার পথকে সুগম করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।

বৈঠকে গাজীপুরে অবস্থিত নারী, শিশু ও কিশোরীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের (সেফ হোম) নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সেফ হোমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয় বৈঠকে। সূত্র: মানবকণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়