তরিকুল ইসলাম সুমন : চলতি বছর হজ যেতে না পারা এবং সৌদি আরবেও বেশ কিছু হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নানা অনিয়মের সৌদিতে ও বেশ কয়েকটি এজেন্সিকে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। সকল হাজি দেশে ফিরে আসার পরই জেদ্দার বাংলাদেশ অফিস থেকে দোষী এজেন্সি তালিকা আমাদের হাতে আসবে তার পরেই অক্টোবরে তদন্ত কমিটি করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণায়ের সচিব মো. আনিসুর রহমান।
ধর্ম সচিব জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো মিসিং না থাকলেও ২৩ জন হজ যাত্রী অসুস্থ্য হয়ে সৌদির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আগে অসুস্থদের সৌদি সরকার কিছুটা ছাড়া দিলেও এ বছর তারা অসুস্থ্যদেরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে বলেছে। এরই ধারাবাহীকতায় ধর্ম মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে কথা বলে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৩ টি মেডিকেল বেড সংযোজনের জন্য আনুরোধ জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর হজযাত্রী এবং হাজিদের সমস্যা কম হয়েছে। তারপরেও এ পর্যন্ত সৌদি থেকে ৯টি এজেন্সির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সৌদিতেও বসে ২-৩ টি এজেন্সি শাস্তি পেয়েছে। চলতি মাসের ২৬ তারিখ শেষ হবে সৌদি থেকে হাজি আসার শেষ ফ্লাইট।
তিনি আরো বলেন, এ বছর হজ যাত্রীদের শেষ ফ্লাইটের আগে মিনার, এয়ারলাইফ, কমসিসহ বেশ কয়েকটি এজেন্সির প্রতিনিধিকে ডিজিএফআই দিয়ে ধরিয়ে এনে হজ যাত্রীদের হজে পাঠানো হয়েছিল। তাৎক্ষনিকভাবে তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিল টাকা দিতে। এখন হাজিরা ফেরত আসার পরে এসব এজেন্সির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৭ জন মিসিং থাকলেও এখন পর্যন্ত ৩ জন সিমিং রয়েছে। তবে গত বছর বেশ কিছু হাজি সৌ দি হাসপাতালে ভতি ছিল যারা পরবর্তীতে ফিরে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :