মহসীন কবির : আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলবে এমন সব বিষয়ের রয়েছে- চাকুরির বয়স বাড়ানো, কোটা আন্দোলন, বড় প্রকল্প শেষ না হওয়া, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন। এর চারটি বিষয়ে জনগণকে সঠিক ধারণা দিতে না পারলে ভোটের পার্থক্যটা হয়ে যেতে পারে অনেক। এমনটিই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এছাড়া নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা, নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি এগুলো তো আছেই। অক্টোবরের মধ্যেই এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় তারা। এ জন্য অক্টোবর পর্যন্ত নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে একগুচ্ছ কর্মসূচি সামনে নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল নিয়েও ভাবছে দলটি। এক্ষেত্রে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার ওপরই গুরুত্ব আরোপ করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি বিদেশি শক্তিগুলোকে সরকারের পাশে রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি আন্দোলন ও দেশীয় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা ছাড়াও দলীয় অন্তর্কোন্দল নিরসন করাও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য দলকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করার কোনও বিকল্প নেই।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত সর্বস্তরে কী করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবার সঙ্গে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার অন্তত আরেক দফা বসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে দলীয় সভাপতি আমাদের চ্যালেঞ্জ কী, নির্বাচনে বিজয়ের জন্যে কী করতে হবে, সে বিষয়ে তার দিক-নির্দেশনা দেবেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে সবসময় ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। এবারও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের সামনে আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনা করবে আওয়ামী লীগ।
আপনার মতামত লিখুন :