ডেস্ক রিপোর্ট: পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে নেত্রকোনার মদর উপজেলার উচিতপুরের ডুবন্ত রাস্তা! হাওরের পানিতে ডুবেছে পাকা রাস্তা। সেই ডুবন্ত রাস্তা দিয়ে কিছুটা দূর হেঁটেও যাওয়া যায়।
নেত্রকোনার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলার জনপদগুলো শুকনো আর বর্ষা মৌসুমে রূপ পাল্টায়। শুকনো মৌসুমে হাওরজুড়ে সবুজের সমারোহ, বর্ষায় অথৈই জলরাশিতে তা কানায় কানায় ভরে ওঠে। ছোট ছোট দ্বীপের মতো একেকটি গ্রাম। সামান্য বাতাস বয়ে গেলেই ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। পরিষ্কার আকাশে সূর্যাস্তের মুহূর্তে জলের বুকে ছড়িয়ে পড়ে সোনালি আভা।
রাতের জ্যোৎস্নায় চিক চিক করে বিস্তীর্ণ জলরাশি। জ্যৈষ্ঠ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত হাওরাঞ্চলটিকে অনেকটাই সমুদ্রের মতো দেখায় বলে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে যান। তাদের নিয়ে ছোট নৌকা আর ট্রলারগুলো দিনভর দাপিয়ে বেড়ায় হাওরের বুকে। আশপাশের মানুষজনের কাছে মিনি কক্সবাজার নামেই পরিচিত উচিতপুর।
যেভাবে যাবেন উচিতপুরে-
রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে নেত্রকোনার মদনে যেতে ভাড়া লাগবে ৩০০ টাকা। অথবা নেত্রকোনা সদরে যেতে পারেন ২৫০টাকায়। সদর থেকে ৫০টাকা ভাড়ায় মদন উপজেলায়। সেখান থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় উচিতপুর ঘাটে। হাওর ঘুরতে ট্রলার ভাড়া নিতে হবে দর-দাম করে। মদনে তেমন থাকার ব্যবস্থা না থাকলেও নেত্রকোনা শহরে একাধিক আবাসিক হোটেল আছে। সূত্র: বাংলা রিপোর্ট
আপনার মতামত লিখুন :