ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুহিদুর রহমান। গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তিন তিন বারের সরাসরি নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জীবন আজ বিপন্ন। সরকার সম্পূর্ন হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাকে নির্জন ও পরিত্যাক্ত কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে একজন নাগরিক হিসেবে তাঁর চিকিৎসার অধিকার থেকেও সরকার তাকে বঞ্চিত করে রেখেছে। অথচ ১/১১ সরকার আমলে বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উপর দায়েরকৃত মামলা ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া সহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের উপর দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা তো দূরের কথা, গত দশ বছরে বিরোধী মতের উপর মামলা হামলার যে খড়গ নেমে এসেছে তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল। সরকার শুধু মামলা হামলায় ক্ষ্যান্ত হয়নি, বিরুধী কন্ঠ রুদ্ধ করতে বেচে নিয়েছে গুম, খুন আর ক্রসফায়রের পথ। এক দেশে দু'নেত্রীর প্রতি এ কেমন দৈত নীতি? অথচ যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা এখনো একাউন্টেই রয়ে গেছে। তাহলে এখানে দূর্নীতি কোথা থেকে হলো? শুধু তাই নয়, একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া জামিন অধিকার থেকেও বঞ্চিত । নিজ এবং পরিবারের উপর এত জুলুম নির্যাতনের পরও তিনি মানুষের অধিকার ও গনতন্ত্রের প্রশ্নে আপোসহীন।
কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক ও গনতন্ত্রের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ আজ গনতন্ত্রের পথ পরিহার করে ফ্যাসিস্টের পথ বেছে নিয়েছে। ভিন্নমত দমনে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি লেলিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ নামের সন্ত্রাসী ও হেলমেট বাহিনীকে। আইসিটি আইনের মাধ্যমে সরকার গনমাধ্যমের ঠুটি ছেপে ধরেছে। মুখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও বাস্তবে তারা আবারো ৫ই জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচেনের পথে হাঁটছে।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আয়োজনের আহবান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :