শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৫৯ সকাল
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বহুতল ভবনের আতঙ্কের নাম ‘আগুন’

ডেস্ক রিপোর্ট: উঁচু কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তিপত্র নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্রের জন্য ১৮টি শর্ত দেওয়া হয়। ভবন নির্মাণ শেষে এসব শর্ত পূরণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

তবে ফায়ার সার্ভিসের এ নীতিমালার কোনোটাই মানছেন না চুয়াডাঙ্গায় উঁচু ভবন নির্মাণ করা মালিকরা। আর এভাবেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই একের পর এক নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন।

জেলার সুশীল নাগরিক বলছে, নির্মিত এসব বহুতল ভবন তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব ছিল। বহুতল ভবন নির্মাণে পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিসের যে তদারকি থাকার দরকার রয়েছে, তা যথাযথ ভাবে তারা পালন করছে না। আর এ কারণে বহুতল ভবনের মালিকরা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ভবন নির্মাণ করছেন বলে দাবি তাদের।

চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনসহ পৌর এলাকার শহীদ আবুল কাশেম সড়ক, শহীদ হাসান চত্বর, শহীদ রবিউল ইসলাম সড়ক, সদর হাসপাতাল সড়ক, শহীদ আলাউল ইসলাম সড়ক, মালোপাড়া সড়ক, হাসপাতালপাড়া ও বেলগাছীসহ বিভিন্ন সড়কে অসংখ্য বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। নির্মাণাধীন এসব ভবন ছয় থেকে দশ তলার উপরে উঁচু। তবে বেশির ভাগ ভবনে মানা হয়নি যথাযত আইন। অধিকাংশ ভবনের মালিকরা জানেনই না বহুতল ভবন নির্মাণে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার কথা।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ করে গড়ে ওঠা এসব বহুতল ভবনে আগুন নেভানোর সরঞ্জামও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে নেই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ভবনে যদি কখনো আগুন লাগে তাদের কিছু করার থাকবে না। এতে সচেতন মহলে আতঙ্ক বাড়ছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভবনে দুই লাখ লিটার ধারণক্ষমতার ও ভবনের সর্বশেষ ধাপে ৮০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার জলাধার থাকতে হবে। প্রতিটি ফ্লোরে লুজ রিল (পানির পাইপ) ও সংযোগ পয়েন্ট থাকতে হবে। আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলার জন্য পাম্প ও প্রশিক্ষিত জনবল থাকতে হবে। ভবনের সামনের সড়ক অন্তত ৩০ ফুট চওড়া থাকার কথা থাকলেও এর কোনটিই মানছে না ভবন মালিকরা।

বহুতল এসব ভবনে আগুন লাগলে কী হবে এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কেউই দিতে পারেননি সদুত্তর। দায়সারা বক্তব্য আর একে অপরের ওপর দোষ দিয়েই নিজেদের সাফাই গাইলেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুস ছালাম বলেন,‘দু’একটি বহুতল ভবনের অনুমোদন ছাড়া বাকি ভবনগুলোর কী অবস্থা তা আমার জানা নেই।’

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন,‘ফায়ার সার্ভিস নিয়ে তদারকির দায়িত্ব হল পৌরসভার। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে সেক্ষেত্রে পৌরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বহুতল ভবনের বিষয়ে জানা নেই। তবে বেশ কিছু কাগজ জমা পড়েছে। তবে কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সূত্র: বার্তা২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়