জিয়াউদ্দিন রাজু : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি কমিশনার বলেন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কিনা, কমিশনের কোনো বেঠকে আলোচনা করা হয়নি। ফলে এটা নিয়ে অযথা বির্তক হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলে সব অংশীজনদের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান আইনে রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই যন্ত্র ব্যবহারের কোনো সুযোগ ছিল না। তবে প্রয়োজনে সংসদ নির্বাচনে যেন ইভিএম ব্যবহার করা যায়, সেজন্য আমরা আরপিও সংশোধন করেছি। তার মানে এই নয় যে, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবেই।
এই কমিশনার আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে হলেও আরপিও সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। সেটা মাথায় রেখেই আমরা আরপিও সংশোধন করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, ভবিষ্যতে যেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা যায়। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আমাদের প্রস্তুুতি থাকতে হবে।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ইভিএমের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে এটা অনেক কম সময়। আমাদের চেষ্টা থাকবে, ইভিএম মেশিনগুলো যেন অন্তত ১০ বছর ব্যবহার করা যায়। তাহলে আমাদের আর্থিক সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, ইভিএম কেনার পর এর রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়টিও দেখতে হবে। গাজীপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) তৈরি করা হবে এই ইভিএম মেশিন।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেন, ২০১০ সালে বাংলাদেশে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু আগের কমিশন ইভিএম মেশিনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা আবার নতুন করে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নির্বাচনে সঠিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী থেকে দক্ষ লোক নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে আমরা ব্যাপকভারে ইভিএম ব্যবহারের চেষ্টা করব।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি কমিশনার বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। এরই মধ্যে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণসহ ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, এবং ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করার কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সূত্র: সারাবাংলা
আপনার মতামত লিখুন :