নূর মাজিদ : চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি প্রকল্প এলাকায় ৮০০ কোটি ডলারের চীনা ও সৌদি বিনিয়োগ চায় পাকিস্তান। প্রকল্প এলাকায় সড়ক, জ্বালানী, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই সমস্ত বিনিয়োগ আসুক, এমনটাই প্রত্যাশা পাকিস্তানের নতুন সরকারের। দেশটির ঊর্ধ্বত্বন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, চলতি সপ্তাহেই তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার সিপিইসি প্রকল্পের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা পুনরায় যাচাই করে দেখেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পে বেশকিছু পরিবর্তন আনার কথাও বলা হয়েছে।
বিশেষ করে, সিপিইসি প্রকল্পের আওতায় নির্মিত দুটি বৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবর্তে সেখানে দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী পাকিস্তানের নতুন সরকার। সিপিইসি প্রকল্পের রহিম ইয়ার খান এলাকায় ১৩২০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন দুটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনগণের পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করতে সেখানে বাঁধ দিয়ে পানি সংরক্ষণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এই জল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে তারা সৌদি আরব এবং চীনের মতো মিত্র দেশগুলোর বিনিয়োগ চায়। আজাদ কাশ্মীরে এই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে মোট ২৬০ কোটি ডলার। এর মধ্যে আজান পাত্তান জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। এখানে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। মাহল নামের অন্য জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ১২০ কোটি ডলার। কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬৪০ মেগাওয়াট।
সিপিইসি প্রকল্পের প্রধান পরিচালক হাসান দাউদ জানান, চীন ও পাকিস্তানের জয়েন্ট কমিটির পরবর্তী বৈঠকে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দুটির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এছাড়াও, পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফরে সিপিইসি প্রকল্পে সৌদি সরকারকে আরো বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাবেন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :