নূর মাজিদ : শুধু উন্নয়নশীল দেশেই নয়, উন্নত দেশগুলোরও রয়েছে বিপুল বৈদেশিক ঋণের বোঝা। এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় যুক্তরাজ্যও। দেশটির বৈদেশিক দেনার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি ইউরো। বিশেষ করে, চলতি ২০০৭-০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর বিশ্বের যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো তীব্র সঙ্কটের মুখে পড়ে। ২০১০ সালেই ৭০ হাজার কোটি ইউরো দেনা বেড়ে যায় যুক্তরাজ্যের। গত পাঁচ বছরে দেশটির ঋণ বেড়েছে আরো ১ লাখ ৬৩ হাজার কোটি ইউরো । ফলে দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ ২ লাখ কোটি ইউরো ছাড়িয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ দেনা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির রক্ষণশীল অর্থনীতিবিদগণ। আজকে বিশ্ব বহুজাতিক মার্কিন ব্যাংক লেহম্যান ব্রাদার্সের পতনের ১০ বছর পূর্তিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে চিন্তিত। অর্থনীতিবিদদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির প্রতিটি নাগরিকের মাথার ওপর এখন ৮ হাজার পাউন্ডের দেনা রয়েছে। জাতীয় ঋণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটির নাগরিকদের ঋণ গ্রহণের পরিমাণও বেড়েছে, জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদগণ। এমতাবস্থায়, দেশটির বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা এবং তারল্য ঘাটতি পূরণে ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা উচিৎ বলেই তারা মনে করেন। অন্যথায়, লেহম্যান ব্রাদার্সের মতো ব্রিটিশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন সক্ষমতা শূন্য হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডেডলাইন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :