শিরোনাম
◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টেকনাফ ও উখিয়ার জীব বৈচিত্র ধ্বংস হওয়ার পথে : ইউএনডিপি

তরিকুল ইসলাম : রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে ৪ হাজার ৩০০ একর পাহাড় ও বনভূমির ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য গাছ কেটে জ্বালানি সরবরাহের কারণে টেকনাফ ও উখিয়ার জীব বৈচিত্র এখন ধ্বংস হওয়ার পথে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সোনারগাঁও হোটেলে ‘এনভায়রনমেন্টাল ইমপেক্টস অব রোহিঙ্গা ইনফ্লাক্স: এ মাল্টিফেইসড প্রবলেম রিকয়ারস মাল্টিফেইসড রেসপনসেস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল (ইউএনডিপি) ও ইউএন উইমেন যৌথভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গারা প্রতি মাসে ৬ হাজার ৮০০ টন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য অস্থায়ী একটি ঘর নির্মাণের জন্য গড়ে ৬০টি বাঁশের প্রয়োজন হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যূতে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে ভূমিধ্বস হতে পারে। ১ হাজার ৫০২ হেক্টর বনভূমির মধ্যে ৭৯৩ হেক্টর বনভূমির ক্ষতি হয়েছে। ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর পাহাড় কাটা হয়েছে। রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে প্রতিমাসে ৬ হাজার ৮০০ টন জ্বালানি কাঠ লাগে, যা গাছ কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এখন রান্নার জ্বালানি ও পানির সংকট চলছে। এ জন্য বিকল্প উপায় বের করতে হবে। পানির অভাব মেটাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। গভীর নলকূপ স্থাপনের কারণে পানির স্তর নেমে গেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের ভূমি ও পরিবেশের যে ক্ষতি হল সেই ক্ষতিপূরণ দিবে কে? এই ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

ইউএনডিপির বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুদিপ্ত মুখার্জী বলেন, বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত খুলে দিয়ে যে উদারতা দেখিয়েছে তা প্রসংশনীয়। তবে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের কারণে কক্সবাজারের পরিবেশ এখন হুমকির মুখে। বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে। তাই সকলকে পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে যাতে পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়