আদম মালেক : বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অমান্য করে ক্রেডিট কার্ডে চড়া সুদ আদায়কারী ব্যাংকগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য ৪৩ বাণিজ্যিক ব্যাংককে চিঠি ৩ মাস আগে চিঠি দিলেও ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংক আজও কোনো উত্তর দেয়নি। ব্যাংকগুলো হল- এক্সিম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ব্যাংকগুলোকে পুনরায় তাগাদাপত্র দেয়া হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংককে তাদের ঋণের সুদের হার জানতে চেয়ে চিঠি দিলে ২৫টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে সুদের কোনো তথ্য জানায়নি। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- অগ্রণী, বেসিক, বিডিবিএল, রুপালী, বিকেবি,আল আরাফা, ফারমার্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি, আইসিবি, এনআরবি গ্লোবাল, পূবালী, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল, সীমান্ত, শাহজালাল, ইউনিয়ন, উত্তরা, আল ফালাহ, সিটি এনএ, হাবিব, এইচএসবিসি, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, উরি ব্যাংকসহ আর কয়টি ব্যাংক।
১৮টি ব্যাংক প্রদত্ত তথ্যে ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার অনেক বেশি। এ ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- জনতা, ঢাকা, ইস্টার্ন, এক্সিম, মিডল্যান্ড, মধুমতি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ন্যাশনাল, এনসিসি, এনআরবিসি, প্রাইম, স্ট্যান্ডার্ড, ইউসিবি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলান।
গেল ২৭ জুন ২৫টি ব্যাংক কেন ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত সুদের তথ্য দেয়নি এজন্য একটি তাগাদাপত্র পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইদিন ১৮টি ব্যাংক কেন ক্রেডিট কার্ডে চড়া সুদ নেয় সেজন্য আরেকটি তাগাদাপত্র ইস্যু করে।
কিন্তু সব ব্যাংক এ তাগাদা পত্রের উত্তর না দেয়ায় গেল ১৪ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে আরও ২টি চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু ২ বার তাগাদা পত্র পাঠানোর পরও যে সব ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে সুদের তথ্য গোপন রাখে সেসব ব্যাংকের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক,এনআরবি গ্লোবাল , সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এখনও কোনো তথ্য দেয়নি। ক্রেডিট কার্ডে চড়া সুদ আদায়কারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকও কোনো উত্তর পাঠায়নি। এ ছয়টি ব্যাংকের কাছে ৩য় বারের মতো চিঠি পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য একটি গাইডলাইন দেয়া হয়। এতে বলা হয় ব্যাংকগুলো যে সেবায় সর্বোচ্চ সুদ বা চার্জ আরোপ করে তার চেয়ে ৫ শতাংশের বেশি মুনাফ বা চার্জ আদায় করা যাবে না ক্রেডিট কার্ডেও ওপর। যেমন, একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ সুদ আদায় করে ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ ২৩ (১৮+৫) শতাংশের বেশি সুদ বা চার্জ আদায় করা যাবে না। গত ১ জানুয়ারি থেকে এ নীতিমালা পরিপালনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :