আহমেদ জাফর: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ও লন্ডন ঘুরে কোন লাভ হবে না। সংবিধানের একচুলও বাইরে যাওয়া হবে না। শেখ হাসিনার অধিনে ইলেকশন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে। এ নিয়ে বিদেশে দৌড়ঝাঁপ করে কোন লাভ হবে না।
গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার শাহ্ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। যারা মুক্তিযোদ্ধের বিরুদ্ধচারন করেছিল। তিনি তাদের সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। এ সমস্ত কর্মকান্ডে প্রমাণ করে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় মতিউর রহমান নিজামি এবং কামরুজ্জামানকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে লাল সবুজের সবুজের পতাকা লাগিয়ে দেন। এটি শুধু জাতির সাথে প্রতারণা নয় ফৌজদারি অপরাধেরও সামিল। তাদের সহিংসতার অভ্যাস তারা এখনো অব্যাহত রেখেছে। সেই কারণেই এরা যুদ্ধের সময় মানুষের ঘর বাড়ি পুড়িয়েছিল। আর এখন মানুষের গায়ে পেট্টোল ঢেলে দিয়ে জীবন্ত মানুষকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির অনেক নেতা মুসলিম লীগ ও জামাতে ইসলামির পরবর্তী প্রজন্ম। আর বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক নেতা আছেন যাদের পরিবারের হয় মুসলিম লীগ বা পাকিস্তানি পক্ষ।
এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দারসহ বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :