শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:১৫ দুপুর
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটি টাকার পৌর ভবন ৯ বছর ধরে তালাবন্দি

ডেস্ক রিপোর্ট : কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার জন্য নির্মিত কোটি টাকা ব্যয়ের আধুনিক দ্বিতল ভবনটি ৯ বছর ধরে তালাবন্দি অবস্থায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। স্থানীয়রা ভবন প্রাঙ্গণে এখন গরু-ছাগল লালন-পালন করছে। খড়কুটা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভবন এলাকা মাদকাসক্ত ও বখাটেদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে দরজা-জানালাসহ ভবনের মূল্যবান আসবাবপত্র।

জানা যায়, ২০০৩ সালে দেবিদ্বার উপজেলা কমপ্লেক্সের একটি আধা পাকা ভবনে পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয় চালু হয়। ২০০৫ সালে পৌরসভার পশ্চিম প্রান্তের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুনাইঘর এলাকায় এক কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে সেখানে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। টানা পাঁচ বছর কার্যক্রম চলে। কিন্তু পৌর ভবনটি পৌর এলাকার এক প্রান্তে হওয়ায় যাতায়াত সমস্যাসহ নাগরিক সেবায় অসুবিধার অজুহাতে ২০০৯ সালে এটি তালাবদ্ধ রেখে ‘দেবিদ্বার মাজেদা আহসান মুন্সী পৌর গণপাঠাগার’কে পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। এতে পাঠাগারের কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। পাঠাগারের লাখ লাখ টাকার বই লোপাট হতে শুরু করে। বর্তমানে পাঠাগারের নামে নতুন করে সরকারি অনুদানসহ বইপত্র আসা বন্ধ রয়েছে। ফলে বইপ্রেমীরা জ্ঞানান্বেষণের একমাত্র পাঠাগারটির কথা ভুলতে বসেছে।

এদিকে গত ১৬ বছরেও দেবিদ্বার পৌরসভার নির্বাচন হয়নি। সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতে দুটি মামলা থাকায় নির্বাচিত মেয়র পাচ্ছে না পৌর বাসিন্দারা। ফলে পৌরবাসীর সেবা লাভের একমাত্র ভরসা হচ্ছেন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ অবস্থায় পৌর এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা বলেন, ‘আমি যোগদানের পর দেখতে পাই গণপাঠাগার ভবনে অস্থায়ীভাবে পৌরসভার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পৌরসভার স্থায়ী ভবনে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া মামলাগুলো নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে পৌরসভার নির্বাচন হতে আর কোনো বাধা থাকবে না। এখানে জনবসতি বাড়ছে। রয়েছে প্রচুর শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তাই প্রশাসনিক কাজের পর পৌরসভার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে আমাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, ‘মামলা জটিলতার কারণে পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। এ কারণে পৌরসভার উন্নয়নকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে বাদীপক্ষ মামলা নিষ্পত্তি করলে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
সূত্র : কালের কন্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়