লিহান লিমা: ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের পরিবারের ভিসা প্রত্যাহার করে নিল যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনের কূটনৈতিক দূতাবাস বন্ধ করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুমাস জোমলোত জানান, ভিসা বাতিলের খবর পাওয়ার পর তার সন্তান ও পরিবার যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকা ওই ভিসা এখন আর কার্যকর নয়। এর আগে তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর, ফিলিস্তিনি সব সংস্থায় অনুদান বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংস্থা-পিএলও এর নির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাওই রাষ্ট্রদূত জুমলোতের পরিবারের ভিসা প্রত্যাহারের নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন কার্যক্রম হিংসাত্মক। এক সাক্ষাতকারে জুমলত বলেন, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছিলেন। তারা আমাদের কর্মকর্তাদের জানান, দূতাবাস বন্ধ করায় আমার স্ত্রী, সন্তান ও পিএলও এর প্রতিনিধিদের ভিসা আর কার্যকর হবে না। যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চান তবে তাদের অভিবাসী মর্যাদা নিয়ে থাকতে হবে।
আগস্টে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা সংস্থা আনওয়ারা থেকে সব অনুদান প্রত্যাহার করে। একই মাসে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা তহবিল ২০ কোটি ডলার প্রত্যাহার করে নেয়। এছাড়া পূর্ব জেরুজালেমের হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তহবিলও বাতিল করে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক হুমকি’ ও ‘অমানবিক এবং অনৈতিক’ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের ধারণা এটি ফিলিস্তিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে বাধ্য করবে কিন্তু ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাস ইসরায়েলকে কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দেয়া যুক্তরাষ্ট্র যে কোন চুক্তিতেই ইসরায়েলের স্বার্থ দেখবে। আল জাজিরা।
আপনার মতামত লিখুন :