শিরোনাম
◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:১২ রাত
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন সোয়া ৪ লাখ টন পৌঁছাবে

দেবব্রত দত্ত: দেশে ডিম ওয়ালা মা মাছ ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠানসহ ইলিশ রক্ষায় সরকারের গৃহীত ব্যাপক কার্যক্রমের কারণে গত পাঁচ বছরের ইলিশ উৎপাদন ১ দশমিক ৯৯ লাখ টন থেকে বর্তমানে ৪ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। আশা করা যাচ্ছে চলতি ২০১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন সোয়া ৪ লাখ টন পৌঁছাবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা গত বছর ১৭ সালে দেশে ১২ হাজার কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া ইলিশ রপ্তানি করে ৩ শতাধিক কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। ইলিশের উৎপাদনের আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার এখন ইলিশ রক্ষায় নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

গত নভেন্ববর থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ হয়েছে। এনহ্যাসিড ফিসারিজ ইন- বাংলাদেশ(ইকোফিস) নামের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা । মাছের আবাদ ও প্রজননের স্থান রক্ষা, জাটকা ও মা মাছ ধরার ওপর নিষেজ্ঞা চলাকালে মৎসজীবী বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাচঁ বছর মেয়ার্দী এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইউ, এস, আই, ডি ইকোফিস প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ইলিশের উৎপাদন আর ও বেড়ে ৭ লাখ টন পৌছাবে । উল্লেখ্য সরকার ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমূখী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। বস্তুত দেশে গত কয়েক বছর আগে ও আকাল ছিল তা এখন কেটে গেছে। এখন ফিরছে ইলিশের সুদিন । এখন ১২ মাসই বাজারে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

ইলিশ সম্পদ রক্ষায় প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, নদীতে ইলিশ বিচরণ এলাকায় চার ধরনের কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা শিকার করা হয়। নিধন করা হয় ডিমওয়ালা মা ইলিশ। ইলিশে উৎপাদনের বৃদ্ধি করার জন্য মা ইলিশ সংরক্ষণ জরুরি। সরকার প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখতে বদ্ধপরিকর। সরকার জাটকা শিকারের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে আর ও কঠোর হবে। যারা কারেন্ট জাল তৈরি করে ও ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্ত্রী জানান, ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রজনন মৌসুমে ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমের ইলিশ আহরণ, জলদুস্যতা নিয়ন্ত্রণ অবৈধ পথে ইলিশের পাচার রোধে এবং জেলেরা যাতে ১. জগৎ বেড় জাল ২. চর ঘেরা জাল ৩.ফাঁস জাল ৪. বেহুন্দি জাল না করতে পারে । এ জন্য পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণে নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আগামীতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়