সজিব খান: ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে (এবিভিপি) হারিয়ে চারটি শীর্ষ পদ দখল করে নেয় চার বামপন্থী ছাত্রনেতা। এর মধ্যে একজন হলেন সারিকা চৌধুরী। তিনি ২ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। আর তার প্রতিদ্ব›দ্ধী এবিভিপির প্রার্থী গীতা শ্রী পেয়েছেন ১ হাজার ১৩ ভোট।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি সারিকা চৌধুরী বলেন, 'জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় মানে দেশদ্রোহী ছাত্রদের আখড়া নয়। এখানে যাঁরা পড়াশোনা করেন, তারা আদর্শ ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখেন৷ এই বিশ্ববিদ্যালয় কারো একার নয়, সকলের। ছাত্রবিরোধী যে কোনো নীতির প্রতিবাদ চলছে, চলবে।'
এদিকে তরুণ ও মেধাবী বামপন্থী ছাত্রনেতা সারিক চৌধুরী সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এবং তাকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন।
সাংবাদিক নজরুল কবীর ফেসবুকে লিখেছেন, অনেকেই যখন বলে, লাল ঝান্ডা'র দিন শেষ তখন, কর্পোরেট শিক্ষা-সংস্কৃতি ও শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তকারীর বিপরীতে কিভাবে রুখে দাঁড়ায় মেধাবী ও যুক্তিবাদী তারুণ্য, তাঁর উদাহরণ হলেন এই সারিকা চৌধুরী।
জেএনইউর নির্বাচনে ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে বাম জোট প্রার্থী এন সাই বালাজি। সাধারণ সম্পাদক পদে আইয়াজ আহমেদ রাইদুর এবং যুগ্ম-সম্পাদকের পদে অমুথ জয়দীপ জয়ী হয়েছেন।
ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিজেপি দেশব্যাপী যে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা তৈরি করেছে, তার বিরুদ্ধে একটা বড় প্রতিবাদ এই নির্বাচনের ফলাফল।
নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়েছেন এবিভিপির প্রার্থীরা। যা বিজেপির ছাত্র সংগঠনের জন্যে তো বটেই, মূল বিজেপি নেতৃত্বের জন্যেও লজ্জাজনক। সূত্র: এই সময়
আপনার মতামত লিখুন :