ইফ্ফাত আরা: ব্রাজিলের রিও ডে জেনিরোতে ১৮১৮ সালে স্থাপিত জাদুঘরে আগুন লাগায় বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে সব মিলিয়ে অন্তত দুই কোটি নিদর্শন ছিলো। এছাড়া অন্য দেশের বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার প্রতœতাত্বিক ও মিসরিয় নানান নিদর্শন ছিলো। এই জাতীয় জাদুঘরকেই এখন পুনরায় গঠন করা হচ্ছে।
আগুন নিভে যাবার পর তা কিভাবে পুনর্গঠন হবে তা নিয়ে ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলো কর্তৃপক্ষ। কেননা ভবনের ভেতরের মেঝে ছিলো কাঠের এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক দলিলপত্র ছিলো প্রচুর যা সবগুলোই কাগজের। এতে করে কিছু জিনিস একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলো, কিছু আবার উড়ে গেছে নানা দিকে।
রিও ডে জেনিরোর কয়েক কিলোমিটার দূরে উড়ে যায় বেশ কিছু পোড়া কাগজ। এক সকালে নিজেদের বাড়ির উঠানেই তেমন কিছু পোড়া কাগজ আবিষ্কার করেন শিলা ও ডগলাস আলভারেঞ্জা। তারা জানিয়েছেন, ‘ প্রথমে যেটা পেয়েছি, সেটা একটা হাজিরা বই, ওটা ছিলো রিও ডে জেনিরো ফেডেরাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতাত্ত্বিক বিভাগ যা জাদুঘরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের হাজিরা বই এর পাতা। ঐ পাতাটি ছিল ২০০৯ সালের। এর সঙ্গে ছিল আরেকটি পাতা, আমার বিশ্বাস যেটা ছিল কীট পতঙ্গের বিবর্তন সংক্রান্ত কিছু।’ এরকমই আরও অনেক কাগজপত্র ছিলো যা ধরার সাথেসাথে ভেঙে যাচ্ছিলো এবং সাথে কিছু চিঠিপত্রও ছিলো বলে তারা জানিয়েছেন। পরবর্তীতে এসব কাগজপত্র কর্তৃপক্ষ কোথায় দিতে হবে জানানোর আগ পর্যন্ত তারা নিজেদের কাছে যতœ করে রেখে দেন।
জাদুঘর পুড়ে যাবার পর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহের জন্য কর্তৃপক্ষ কয়েকটি অস্থায়ী কেন্দ্র তৈরি করেছে। সেখানে জাদুঘরের কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের নিয়ে আসা ঐতিহাসিক দলিলপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জমা রাখছেন।
উল্লেখ্য, জাদুঘর পুনর্গঠনের কাজ কতদিনে শেষ হবে ও কবে সেটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি। বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :