নিজস্ব প্রতিবেদক: আগের দিন বাহরাইনকে সমীহ করার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। যে বাহরাইন লেবাননের কাছে হেরেছিল ৮-০ গোলে। কথাটা যে বলার জন্যই বলা বাংলাদেশ কোচের তা জানাই ছিল সবার। আসলে বাহরাইনের বিপক্ষে তো বড় জয়ের লক্ষেই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সোমবার প্রথমার্ধেই যেমন বাহরাইনের জালে ৫ গোল দিয়েছে মারিয়া-আনুচিংরা।দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়ও লাল- সবুজের দল আক্রমনের ধারা অব্যাহত রেখে আরো ৫ গোল আদায় করে নেন । খেলা শেষ হওয়ার আগে বাহরাইনের জালে বাংলাদেশ ১০ গোল করে এগিয়ে যায়।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের ফুটবলের বাছাইপর্বে বাহরাইনের বিপক্ষে এখন লড়ছে বাংলাদেশ। সোমবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দুপুর সাড়ে ৩টায় শুরু হয়েছে দুই দলের খেলা।
প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেছেন আনুচিং মগিনি। ১টি করে গোল করেন অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, আনাই মগিনি ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। অফসাইডে ৩ গোল বাতিল না হলে আর আনুচিং দুটি সুযোগ নষ্ট না করলে প্রথমার্ধেই ব্যবধান ১০-০ হতে পারতো।
পুরোটা সময় বাংলাদেশ খেলেছে বাহরাইনের অর্ধে। বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা ছিলেন দর্শক হয়ে। ম্যাচের ৮ মিনিটে বড় বোন আনাইয়ের বাড়ানো বল আনুচিং বার পোস্টের উপর দিয়ে না মারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় তখনই। তবে ১২ মিনিটে আনাই লিড এনে দিতে ভুল করেনি। ডান প্রন্ত থেকে তার ক্রস সরাসরি বাহরাইনের জালে ঢুকে।
১৬ মিনিটে মারিয়া মান্ডার প্রায় মধ্যমাঠ থেকে নেয়া শট জালে জড়ালে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়ের পাস থেকে গোল করেন আনুচিং মগিনি। তাতে ৩-০ গোলের লিড স্বগতিকদের।
২৬ মিনিটে পর পর দুই গোল বাতিল হয় বাংলাদেশের। ডি বক্সের বাইরে থেকে ঋতু পন্না ঘোষ বল জাড়ে জড়ালেও সেটি অফসাইডে বাতিল করেন রেফিরি। একই মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলও বাতিল হয় অফসাইডে।
৩৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আনুচিং। ঋতুপন্নার শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শটে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড।
৪০ মিনিটে মনিকা-আনুচিংয়ের কম্বিনেশন ফ্রিক থেকে আবার বল জালে জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র। এই গোলটিও রেফারি বাতিল করেন অফ সাইডে।
যোগ করা সময়ে আর হতাশ হতে হয়নি শামসুন্নাহারকে। আনুচিংয়ের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র।
প্রথমার্ধ জুড়ে দুর্দান্ত খেলেছেন জমজ দুই বোন আনাই ও আনুচিং। ডিফেন্ডার হলেও বারবার ওভারল্যাপ করে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ব্যস্ত রেখেছেন আনাই।
আপনার মতামত লিখুন :