শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:০১ দুপুর
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেহেরপুরে প্যানেল মেয়র রিপন হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরে চাঞ্চল্যকর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান রিপন হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন জেল দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটে মেহেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের ২য় আদালতের বিচারক মো: নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছর করে জেল দেওয়া হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-গাংনী থানাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে মাসুদ রানা, গাংনী উপজেলার ওলিনগর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে মো: লাল্টু, মেহেরপুর শহরের গোরস্থানপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম ওরফে আকালি এবং হোটেল বাজার পাড়ার ইসাহাক আলীর ছেলে আব্দুল হালিম।

আদালতে আদেশ ঘোষনার সময় রাশিদুল ইসলাম আকালি ও আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মেহেরপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান রিপন তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল বাজারে অবস্থিত রাজধানী শপিং সেন্টারে বসেছিলেন। ওই সময় অজ্ঞাতনামা কিছু সন্ত্রাসী মিজানুর রহমানকে হত্যার চেষ্টার উদ্দেশ্যে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে বোমাটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয়ে মিজানুর রহমান রিপনের শরিরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এতে তৎকালীন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামানসহ দোকানের দুই তিন কর্মচারী আহত। তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে রিপনকে স্থানান্তর করা হলে সেখানে ৮দিন মৃত্যু শয্যায় পাঞ্জা লড়ে ৮ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।

এঘটনায় মিজানুর রহমান রিপনের পিতা আব্দুল হালিম বাদি হয়ে মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও সাবেক প্রয়াত কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামনু বিপুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে হত্যা ও বিষ্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার কয়েকদফা তদন্ত শেষ করে পুলিশের এসআই সবুজ হোসেন আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরবর্তিতে আসামি পক্ষ থেকে অভিযোগপত্রের আপত্তি আবেদন করলে সিআইডি কে তদন্তভার দেওয়া হয়। মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে মনিরুজ্জামান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মিজানুর রহমান রিপনের ছোট ভাই মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন জানান, মামলার মূল আসামি সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুকে ফাইনাল চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আসামিদের ফাঁসি কামনা করেছিলাম। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়