মো. সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: হাঁস পালনে স্বচ্ছলতা এসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর গ্রামের পজির ও পারুল দম্পতি সংসার। ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভালোই দিন কাটছে তাদের।এই দম্পতির (তাদের) সাফল্য দেখে হাসঁপালন করছে এলাকার অনেকেই। প্রাণী সম্পদ বিভাগও তাদের পাশে দাড়িঁয়েছে।
পজিরউদ্দিন ও তার স্ত্রী পারুল বেগম জানান, ১৫০টি হাঁস দিয়ে তাদের স্বপ্ন যাত্রা শুরু হয়। এখন তাদের খামারে ৮শ হাসঁ রয়েছে। আঠারো বছর ধরে হাঁস পালন করে আসছে তারা বাড়ির নিকটে তীরনই নদী ও ডোবা- নালা জলাশয়ের শামুক ঝিনুক খেয়ে জীবন ধারণ করে হাঁসগুলো। এতে হাঁসের খাদ্য সাশ্রয় হচ্ছে । তবে বর্ষার মৌসুমে বাড়তি খাবার কিনতে হয় তাদের । একটি সময় জমি-জমা বলতে কিছুই না থাকা এ দম্পতির এখন হাঁসের ডিম ও বড় হাঁস বিক্রি করে ভিটেমাটিসহ চার বিঘা জমির মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া এ আয় থেকে সংসার খরচ ও ১ছেলে-৩ মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পজিউদ্দিন দম্পতির সাফল্য দেখে হাঁসপালন করছে গ্রামের অনেকেই। স্থানীয়রা মনে করছেন গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দরিদ্রতা কমিয়ে আনতে সরকার বিনা সুদে ব্যাংক থেকে ঋন প্রদান করলে হাঁসপালনে উদ্বুদ্ধ হবেন অনেক হত-দরিদ্ররা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাণীসম্পদক কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, হত-দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে হাঁস পালনে উদ্বুদ্ধ করতে কারিগরি সহযোগীতা দেওয়া হচ্ছে প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :