ডেস্ক রিপোর্ট : বৃষ্টি আর উজানের ঢলে নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ায় কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮টি স্পটে টি-হেড গ্রোয়েন ও রিভেটমেন্ট ভাঙনের কবলে পড়েছে। এরমধ্যে ধরলা নদীর ভাঙনে চর সুভারকুটি এলাকার টি-হেড গ্রোয়েনটি সবচে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। আতঙ্কে আছেন ৮ গ্রামের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, স্থাপনাগুলো রক্ষায় অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা কাজ চলছে।
ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারসহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদীতে পানি বেড়েই চলেছে।এরমধ্যে ধরলা নদীর মূল স্রোত ডান তীর ঘেঁষে প্রবাহিত হওয়ায় সদর উপজেলার হোলোখানা ইউনিয়নের চর সুভারকুটি এলাকায় টি-হেড গ্রোয়েনটির নদীর দিকে ৪০ মিটার স্লাভ ধ্বসে পড়েছে। দু’দিন ধরে ব্লক ও বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ফলে আতংকের মধ্যে পড়েছেন আশেপাশের চর সুভারকুটি, পাঙ্গার চর, হেমেরকুটি, মোক্তারের হাট, গুচ্ছগ্রাম, আরাজী পলাশবাড়ী, ভোলারচর ও ওয়াপদা মোড়-এই ৮ গ্রামের মানুষ।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে কাজ দরকার, কাজ হচ্ছে আস্তে আস্তে।
আরেকজন বলেন, ৮বার বাড় ভেঙ্গেছে, এখন আমাদের কিছু নাই। আমরা আর কি করবো?
কাজ চলছে ধীর গতিতে এবং যে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ করলেন স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।
হোলোখানা ইউনিয়ন পরিষদ ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার রিয়াজুল হক বলেন, যে কাজ চলছে, তা খুবই ধীর স্থিরভাবে হচ্ছে। স্লাভ অনেক কম দিচ্ছে।'
স্থাপনাগুলো রক্ষায় অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা কাজ চলছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ করা হবে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমরা তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। শুষ্ক মৌসুমে স্লাভ বসিয়ে কাজ করবো।'
চর সুভারকুটির টি-হেড গ্রোয়েন ছাড়াও রৌমারীর বলদমারা, সাহেবের আলগা, চিলমারীর কাঁচকোল, উলিপুরের নাগড়াকুড়া ও কাজিরচক, রাজারহাটের ডাংরারহাট এবং ভূরুঙ্গামারীর গনারকুটি এলাকায় টি-হেড গ্রোয়েন ও রিভেটমেন্ট ভাঙনের কবলে পড়েছে। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :