মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন চলবে। একইভাবে শ্রম আইনের জন্য আমাদের ট্রেড ইউনিয়ন লড়াইও করবে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছি। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর দেশের ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক তাদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদেরকে ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। এরকম একটি ঘোষণা মালিকদের স্বার্থে করা হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ এই পোষাক খাত থেকে আসে। তাহলে তাদের নিয়ে কেন এত উপহাস করা হবে? তাদের প্রতি কেন অবিচার করা হবে। আমরা এটি মেনে নিতে পারি না।
শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এটা তাদের ভরণ-পোষণের জন্যই করতে হবে। পোষাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতেই এটি করতে হবে। শ্রমিকরা যে টাকা দাবি করেছে তা বেশি নয়। বাসাবাড়া, চলাফেরা, ভরণ-পোষণে খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে কিন্তু তারা বেশি দাবি করেনি। ৮ ঘণ্টা একজন শ্রমিক কাজ করে কত টাকা পাচ্ছে। একজন কাজ করে যে টাকা পাবে, সেটা ৩ জন কাজ করে কেন পেতে হবে! এটা অমানবিক। ১৬ হাজার টাকা ন্যূন্যতম মজুরির আন্দোলনের সঙ্গে আমি সংহতি প্রকাশ করছি। এই টাকার চেয়ে আরো বেশি মজুরি দেয়া সম্ভব। মজুরি বোর্ড ঘোষণা করেছে ৬৩৬০ টাকা। এটা ঘোষণা করে শ্রমিকদের উপহাস করা হয়েছে। মালিকদেরকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ১৬ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি।
পরিচিতি : সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)/মতামত গ্রহণ : ফাহিম আহমাদ বিজয়/সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :