শিরোনাম
◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞার থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ.লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:০২ রাত
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পোষাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করতে হবে

জোনায়েদ সাকি

 

অনেক টালবাহানা এবং সময়ক্ষেপণ শেষে শ্রমমন্ত্রী  প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আট হাজার নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করলেন এবং বাকি ছয়টি গ্রেডের ঘোষণা করেন নাই। রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাত হওয়ার পরও অপ্রতুল এই মজুরি ঘোষণায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি এ মজুরি প্রত্যাখান করেছে।

এই প্রস্তাবনা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা। এই খাত আন্তর্জাতিক শিল্প হওয়ায় এখানে বায়ারদের সাথে দরকষাকষি বিষয়টা সরাসরি সংযুক্ত, কাজেই মজুরি নির্ধারণের ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতি আমলে নেওয়া হয়নি। একদিকে মালিকদের সক্ষমতা বেড়েছে, রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে কিন্তু ততটাই জবাবদিহিতা কমেছে।

অন্যদিকে সারাবিশ্বে আমাদের কাজের সুনাম রয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে মেড ইন বাংলাদেশ। সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বরং মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে উৎসকর, কর্তনসহ নতুন নতুন প্রণোদনা আদায় করে চলেছে।

যথার্থ মজুরি বৃদ্ধি পেলে যেখানে শ্রমিকদের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার বিকাশ পেত; শিল্পের বিকাশসহ দেশের অর্থনীতিই পাল্টে যেত সেখানে শ্রমমন্ত্রী উল্টো ঘোষণা দিলেন। আমরা মনে করি, এই মজুরিতে শ্রমিকদের মঙ্গল হবে না। নতুন মজুরিতে খাদ্য ভাতা মাত্র ৯০০ টাকা, বাসাভাড়া দুই হাজার ৫০ টাকা।

এই টাকার খাবার খেয়ে আর এই টাকার বাসাভাড়ায় থেকে আন্তর্জাতিক মানের উৎপাদনশীলতা পাওয়া যাবে না। আর যদি তা যায়ও তা শ্রমিকরা শরীরের আগাম রক্ত বিক্রি করার ওভারটাইমের মধ্য দিয়ে প্রদান করবে। কাজেই প্রতিটি শ্রমিককে আরো বেশি করে ওভারটাইম করার গ্রাউন্ড বহাল রাখলো এই নতুন মজুরি।

দেশে অতি ধনীদের সংখ্যা বাড়ছে, টাকা লোপাট হয়ে পাচার হচ্ছে। কিন্তু কারখানা মালিকদের আন্তর্জাতিক বায়ারদের সাথে যথেষ্ট দরকষাকষির সক্ষমতা যেমন নাই, তেমনি নিয়মিতভাবে শ্রমিকদের মজুরিসহ প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এগুলো বন্ধ করতে হবে। পোষাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পোষাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।

পরিচিতি : প্রধান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলন/মতামত গ্রহণ : ফাহিম আহমাদ বিজয়/সম্পাদনা : রেজাউল আহসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়