শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:০০ দুপুর
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তিনশ’ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি বাম জোটের

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে অবস্থান এখনও পরিস্কার করেনি বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে তারা। ৩০০ আসনেই নির্বাচনের এমন প্রস্তুতি চলছে দেশের অন্যতম প্রধান এই বামপন্থি জোটের মধ্যে।

জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে জোটভুক্ত আটটি বাম দলই আলাদা আলাদা দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নেমে প্রাথমিক গণসংযোগ ও প্রচার শুরু করেছেন। অবশ্য নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপরই তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্ভর করবে বলেই জানিয়েছেন জোট নেতারা। সে ধরনের নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হলে নির্বাচনে যাবেন, অন্যথায় নির্বাচন বয়কটের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ-বিএনপি জোটের বাইরে বিকল্প শক্তিসমাবেশ গড়ে তুলতে এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের চার দফা দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার কথাও বলেছেন বামপন্থি নেতারা।

নেতারা আরও বলছেন, বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক এবং কালো টাকা, পেশিশক্তির দাপট, প্রশাসনিক কারসাজি ও সাম্প্রদায়িকতার প্রভাবযুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা নেই। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আদৌ নির্বাচন হবে কি-না- সেটি নিয়েও এক ধরনের সংশয়-সন্দেহ রয়েছে তাদের। এই অবস্থায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মাঠে রয়েছেন তারা। আবার গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হওয়া সাপেক্ষে আগামী নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। শিগগিরই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা।

এর আগে থেকেই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সমন্বয়ে গঠিত দ্বিদলীয় মোর্চা 'সিপিবি-বাসদ' এবং অন্য আটটি বামপন্থি দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আলাদাভাবে রাজপথে সক্রিয় ছিল। গত বছরের ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দ্বিদলীয় ধারার বাইরে বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার আহ্বানের মধ্য দিয়ে দুই জোটের সমন্বয়ে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা জোট কার্যক্রম শুরু করে। চলতি বছরের ১৮ জুলাই এই দুই জোটের আটটি দল মিলিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট নামে আলাদা জোটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর আগ থেকেই অবশ্য জনজীবনের সংকট ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার প্রশ্নে আন্দোলনের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করেছিল জোটভুক্ত দলগুলো।

এদিকে, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলো আলাদাভাবে দলীয় প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছে। প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কোন আসনে শরিক কোন দলের প্রার্থীর অবস্থান ভালো, কোথায় কাকে ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইত্যাদি বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনা হচ্ছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হলে আসনগত সমঝোতার জন্য জোটের মধ্যে আলোচনা করা হবে। আবার আওয়ামী লীগ-বিএনপি জোটের বাইরের অন্য বামপন্থি দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছানো গেলে তাদের সঙ্গেও আসনগত সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান জোট নেতারা।

সূত্রমতে, বামপন্থি এই জোটের এ নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে। অবশ্য এই জোটের তিন শরিক সিপিবি, বাসদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়া অন্য পাঁচটি দলেরই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকায় নির্বাচনে গেলে নিবন্ধনবিহীন দলগুলোকে জোট নির্ধারিত প্রতীকে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিতে হবে। এই অবস্থায় কোনো কোনো শরিক দল নিবন্ধনপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। এরই মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করলেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিগগিরই উচ্চ আদালতে মামলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি।

কোন দলের কত আসনে প্রার্থী :বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল সিপিবি কমপক্ষে ১৬০টি আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেশিরভাগ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় শহীদ মিনারগুলো থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখযোগ্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সিপিবির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, জামালপুর-২; সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা-১৯; সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, চট্টগ্রাম-১২; প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, নরসিংদী-৪; মিহির ঘোষ, গাইবান্ধা-২; সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা-৮ অথবা খুলনা-২; কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, নেত্রকোনা-১; ডা. ফজলুর রহমান, নওগাঁ-৪; আজাহারুল ইসলাম আরজু, মানিকগঞ্জ-৩ এবং অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে আন্দোলনের মাঠে রয়েছেন তারা। টাকার খেলা, পেশিশক্তির দাপট, প্রশাসনিক কারসাজি ও সাম্প্রদায়িকতার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা চান তারা। আগামীদিনে এই দাবির আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। এসব দাবিতে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নির্বাচন কমিশন, সচিবালয় এবং জেলায় জেলায় নির্বাচন অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে তাদের।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন গণতান্ত্রিক দল ও জোট হিসেবে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি থাকলেও তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ অমূলক হবে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনের জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার বিধান চালুর যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেটি বাস্তবায়ন হলেও তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ পেলে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি যেমন রয়েছে, তেমনি না পেলে বয়কটের প্রস্তুতিও তাদের রয়েছে।

জোটের আরেক শরিক বাসদ ৭৫-৮০টি আসনে নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্য আসনগুলোর মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, চাঁদপুর-৪; কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, ঢাকা-১৩ অথবা ঢাকা-২০; রাজেকুজ্জামান রতন, রংপুর-৩; ওসমান আলী, গাজীপুর-১; নওগাঁ জেলা আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, নওগাঁ-৩; জয়পুরহাট জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ, জয়পুরহাট-১; হবিগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ, হবিগঞ্জ-৩; মৌলভীবাজার জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মইনুর রহমান মগনু, মৌলভীবাজার-৩; চাঁদপুর জেলা আহ্বায়ক শাহজাহান তালুকদার, চাঁদপুর-৩; কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-১; রংপুর জেলা কমিটির সদস্য মমিনুল ইসলাম, রংপুর-৫ এবং উপজেলা কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, বাম গণতান্ত্রিক জোট একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের মাঠে রয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকে এই আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবেও দেখেন তারা। সে হিসেবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হলে যাতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়, সেই প্রস্তুতিও চলছে তাদের।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৫-৩০টি আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য আনছার আলী দুলাল, নাটোর-১; কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহমুদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৪; সরদার রইফ উদ্দিন, সাতক্ষীরা-২; সজীব সরকার রতন, নেত্রকোনা-২; ডা. খোন্দকার মোসলেহ উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ-৫; কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য কেএম আলীদাদ, খুলনা-৪ এবং রাঙামাটি জেলা সম্পাদমণ্ডলীর সদস্য জুঁই চাকমা পাবর্ত্য রাঙামাটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আগামী নির্বাচন আদৌ হবে কি-না এবং হলেও সেটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে কি-না, তা নিয়ে খোদ জনমনেই সন্দেহ-সংশয় ও উদ্বেগ রয়েছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে উঠলে নির্বাচনে অংশ নেবেন তারা। আর সেরকম পরিবেশ সৃষ্টি না হলে তাদের নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিলে জোটগত নির্বাচনের সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে জোটভুক্ত দলগুলোর যার যেখানে ভালো অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, সেখানে সেই দল থেকেই প্রার্থী দেওয়া হবে।

গণসংহতি আন্দোলন ২০টির অধিক আসনে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছে। এই দলের প্রার্থী তালিকার উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন দলের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা-১২; সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনিরুদ্দীন পাপ্পু, ঢাকা-৭; জুলহাসনাইন বাবু, পাবনা-১; কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, নোয়াখালী-৪ এবং হাসান মারুফ রুমী চট্টগ্রামের একটি আসন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানান, দলগত ও জোটগতভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে এক ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ, যোগাযোগ ও প্রাথমিক প্রচারও চালাচ্ছেন। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মতো পরিবেশ সৃষ্টি এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি-না, তা নিয়েও তাদের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও নির্বাচন কমিশনে আটকে আছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলেও তাদের দল নিবন্ধন না পেলে শেষ পর্যন্ত তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন, সে বিষয়ে যথাসময়ই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ১০-১৫টির মতো আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে। তাদের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মমিনুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-১; জাতীয় কমিটির সদস্য সুকোমল বিশ্বাস, ঠাকুরগাঁও-২ আসন প্রমুখ।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে মানসিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি এবং একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাই চান তারা।

এ ছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্য তিন শরিক বাসদ (মার্কসবাদী), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনও কমবেশি আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে।সূত্র : সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়