শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:০৭ রাত
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্যানেটারি পণ্যের বিনিময়ে যৌনকর্মে বাধ্য হচ্ছে কেনিয় কিশোরীরা

লিহান লিমা: দারিদ্র, লজ্জা, কুসংস্কার ও পিরিয়ডকালীন সময়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষাজনিত তথ্যের অভাবে ভুগছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার নারী ও কিশোরীরা। ইউনিসেফের এক গবেষণায় উঠে আসে, দেশটিতে স্যানেটারি পণ্যের বিনিময়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য হয় কিশোরীরা।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে দেখা যায়, কেনিয়ার ৬৫ ভাগ নারী স্যানেটারি ন্যাপকিনের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য হয়। পশ্চিম কেনিয়াতে ১০ ভাগ কিশোরী এর সঙ্গে জড়িত। গবেষণায় উঠে আসে, ৫৪ ভাগ কেনিয় কিশোরি পিরিয়ডজনিত সুরক্ষার নাগাল সহজে পায় না। স্কুলে পড়া ২২ ভাগ কিশোরি তাদের নিজের স্যানেটারি ন্যাপকিন নিজেই কেনে।

ইউনিসেফের পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিভাগের কেনিয়া বিষয়ক প্রধান অ্যান্ড্রু ত্রিভেট বলেন, স্যানেটারি পণ্য বিনিময়ের সময় কিশোরীদের যৌন হয়রানির সম্মুখীন হওয়াটা কেনিয়ায় বিস্ময়কর নয়। এর দুইটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, নারী ও কিশোরীদের স্যানেটারি পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই। দ্বিতীয়ত, কেনিয়ার অনেক অঞ্চলেই স্যানেটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায় না।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে আরো উঠে আসে, ৭ ভাগ নারী ও শিশু পিরিয়ডের সময় পুরনো কাপড়, তুলো, মুরগীর পালক, কাদামাটি ও খবরের কাগজ ব্যবহার করে। এর মধ্যে ৪৬ ভাগ পুরনো প্যাড ও ৬ ভাগ একটি প্যাড বারবার ব্যবহার করে। কেনিয়াতে ৭৬ ভাগ নারী ও কিশোরি পিরিয়ডকালীন সময় পরিষ্কার পানি ও স্যানিটেশন সুরক্ষা পেতে হিমশিম খায়। কেনিয়াতে ৩০ ভাগ স্কুল তাদের শিক্ষার্থীদের প্যাড সরবরাহ করলেও তা শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই দেয়া হয়।

২০১৬ সালে বিল এন্ড মেন্ডিলা গেটস ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র ৫০ ভাগ কেনিয় কিশোরী তাদের পিরিয়ডের কথা বাড়িতে জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বান্ধবী বা সহপাঠীদের সহায়তা নেয়। আফ্রিকাতে ১০ জনের মধ্যে ১ জন ছাত্রী পিরিয়ডকালীন সময়ে স্কুলে আসে না। ইন্ডিপেনডেন্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়