ইসমাঈল হুসাইন ইমু : নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মো. হান্নান মিয়া (৪২) নামের এক জেলেকে কুপিয়ে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনা তদন্ত চলছে ঢিমেতালে। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ গ্রেফতার হচ্ছে না বলে পরিবারের অভিযোগ। তবে পুলিশ বলছে, তারা ঘাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।
হান্নানের স্ত্রী সাবিকুন্নেছা জানান, প্রতিদিনের মতো গত ১১ আগস্ট রাতে মাছ ধরতে মেঘনা নদীতে যান হান্নান। গভীর রাত হয়ে গেলেও না ফেরায় তার মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন দুপুরে গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালীদের চাপে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনায় জড়িত মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামী উজ্জলকে গ্রেফতার করেছে। সে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমেন সরকারের ছোটভাই। কিন্তু আর কোন আসামী ধরা পড়ছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী বাবুল মিয়া এ হত্যাকা-ের অন্যতম নায়ক। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না। এই বাবুল র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ নিহত রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়পুরা সেলিম ওরফে সেইল্যার আশ্রয়দাতা ছিল। সেইল্যার সকল টাকা পয়সা তার কাছেই থাকতো। এলাকায় এখন সে বিরাট নেতা। সেইল্যা মারা যাওয়ার পর সকল টাকা-পয়সা ও সম্পদ নিজের গ্রাসে করে নেন বাবুল। আর সেইল্যার বাবা-মা এখন অনাহারে দিনানিপাত করছেন।
বর্তমানে কোটিপতি বনে যাওয়া এই বাবুল স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়েও একটি বাহিনী গড়ে তুলেছেন। ড্রেজারের ব্যবসা করেন তিনি। নদী খনন করে বালু উত্তোলণের ফলে চানপুর, কালিকাপুর, মোহিনিপুর ও সওদাগর এলাকার প্রায় ৬শ’ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর এসব কর্মকান্ডে বাধা দিয়ে প্রান হারাতে হয়েছে জেলে হান্নানকে। এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন, আল-আমিন, ইয়াকুব, জয়নাল মিয়া, সুলতান মিয়া, সাদ্দাম মিয়া, শ্যামল মিয়াসহ আরওও অজ্ঞাত ৫/৬জন।
আপনার মতামত লিখুন :