তরিকুল ইসলাম সুমন : আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই নভেম্বরের মধ্যেই ৯০ শতাংশ ছাপার কাজ শেষ করার লক্ষ্য স্থির করেছে এনসিটিবি। ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় পৌনে তিন কোটি কপি বই উপেজলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে বলে এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে ।
সূত্র জানায়, মানসম্মত বই ছাপতে এবার কঠোর অবস্থানে এনসিটিবি। সংস্থার চেয়ারম্যান, সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তারা নিয়মিত সারাদেশের ছাপাখানা পরিদর্শন করছেন। ইতোমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু বই ফেরত দিয়ে পূনরায় তা ছাপাতে বাধ্য করা হয়েছে।
এনসিটিবি জানায়, আগামী শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের চার কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট বইয়ের সংখ্যা ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ কপি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা এই প্রতিবদেককে জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের অবস্থা ভালো। বইয়ের মানও ভালো হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়েও ছাপা বইয়ের অাংশিক সরবরাহ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে যাদের বইয়ে ভুল-ত্রুটি বা মান খারাপ হবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসব বই ছাপাতে দেশি-বিদেশি প্রায় তিনশ ছাপাখানার (প্রিন্টার্স) সঙ্গে চুক্তি করে কার্যাদেশ দিয়েছে এনসিটিবি। এর মধ্যে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং এসএসসি ভোকেশনাল স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ করতে কাগজ ছাড়া ৩৪০টি লটে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আর মাধ্যমিক বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন, ইবতেদায়ি, দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি (ট্রেড বই) স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য কাগজসহ ৩২০টি লটে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ছাপাখানাগুলো পুরোদমে বইয়ের কাজ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :