তরিকুল ইসলাম : প্রত্যাবাসনের আওতায় রোহিঙ্গাদের শিগগির মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর দেওয়া বক্তব্য স্বাগত জানিয়েছে দেশটি। যদিও মিয়ানমার এর আগে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশকে বারবার দায়ী করে মিথ্যাচার করে আসছিলো। সে সময় কূটনীতিক এবং সম্পর্ক বিশ্লেষকরা দেশটির রাষ্ট্রিয় মিথ্যাচারের জবাব দিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্লাটফর্ম তৈরির তাগিদ অনুভব করেছিলেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে মিয়ানমার স্বাগত জানিয়েছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক। এখন রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানানোর মনোভাবের বাস্তব স্বাক্ষর রাখতে হবে। প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের আস্থায় নিতে এ ব্যাপারে দৃশ্যমান অগ্রগতি হতে হবে।বাংলাদেশের প্রত্যাশা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুততার সাথে শুরু করে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করা।
বাংলাদেশ বারবার এ কথা বলছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনাতা নিয়ে প্রশ্নœ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মত বাংলাদেশও চায় টেকসই, নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাক। বাংলাদেশও চায় মিয়ানমারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি টেকসই সমাধান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসির রুলিং মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে জানিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা একটা বিচারিক প্রক্রিয়া। তবে এ প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ। অন্যদিকে মিয়ানমার আইসিসির এখতিয়ারকে স্বীকার করছে না। এখন অস্বীকার করেও যদি মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়, তা আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :