কান্তা আইচ রায় : ডিএসই'র ট্রেকহোল্ডাররা চলতি মাসের শেষে চীনের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করবেন । তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কী প্রক্রিয়ায় এই অর্থ বাজারে ঢুকবে, সেই গাইডলাইন ও মনিটরিং করবে । আগামী ৩ বছর ডিলার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই এই অর্থে নিয়মিত শেয়ার কেনাবেচা'র সম্ভাবনা আছে বলে জানান, ট্রেকহোল্ডাররা।
ডিএসইর ২৫% শেয়ার চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছে বিক্রি করে পাওয়া গেছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী সেই অর্থ ৩ বছর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্তে গেইন ট্যাক্স ৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন । এতে সন্তুষ্ট ডিএসই'র ট্রেকহোল্ডাররা। তারা বলেন, এতে আসবে বিপুল অঙ্কের ফ্রেশ ফান্ড। আবার চাঙা হবে ঢাকার পুঁজিবাজার।
ডিএসই ব্রোকারেজ সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক জানান,'এই টাকা আমাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে আসবে না, কোম্পানীর অ্যাকাউন্টে আসবে। কোম্পানীর অ্যাকাউন্টে আসলেই বিনিয়োগ শুরু হয়ে যাবে। আমাদের পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট রয়েছে,এই ১০০০ হাজার কোটি টাকা যদি পুঁজিবাজারে ঢুকে তাহলে তা অনেক চাঙ্গা হবে।'
মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ মিলিয়ে ডিএসই'র ট্রেকহোল্ডারের সংখ্যা ২৫০। চলতি মাসের মধ্যেই টাকা হাতে পাবেন তারা।
ডিএসই'র সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, ‘ব্রোকারেন্ডে যখন বিনিয়োগ হয়, তখন এটার প্রভাব অনেক বেশি হয়। আমরা আশা করছি এই মাসের শেষের দিকেই টাকাগুলো ছাড়া হবে।'
আগামী ৩ বছর পুঁজিবাজারে এই অর্থ দিয়ে নিয়মিত শেয়ার কেনাবেচা করবেন ডিএসই'র ট্রেকহোল্ডাররা। কখন কিভাবে বাজারে টাকা ঢুকবে, সেজন্য বিনিয়োগ গাইডলাইন দেবে বিএসইসি।
ডিএসই'র সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী আরো জানান, ‘কখন, কিভাবে কাজ করবে,নতুন করে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে কিনা এসব বিষয়ে এখনও কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের যখন টাকা দেয়া হবে তখনই এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একটা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিবে।'
এখনো ডিএসই'র ৩৫% শতাংশ শেয়ার অবিক্রিত আছে। যা আইপিওর মাধ্যমে বাজারে ছাড়ার কথা। তবে সেটি পাওয়ার জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে আরো দু'বছর। সূত্র: ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :