লাকি আক্তার : পোষাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটি যদি আমাকে বলে, তাহলে আমার মনে হয় এটি প্রত্যাখান করা উচিত। বর্তমানে সব কিছুর দাম বেড়েছে ।
তারপর বাসা ভাড়া, চিকিৎসা সেবা এবং অন্যান্য বিষয় মিলিয়ে একজন শ্রমিকের ৮ হাজার টাকায় সংসার চলে না। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি, এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করাটাই যৌক্তিক। এবং প্রত্যাখান করে বেসিক ক্রস, ক্রস ১৬ এর দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। সমস্ত পোষাক শ্রমিকদের এই দাবিতে রাস্তায় নেমে আসা উচিত। এমনিতেই পোষাক শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার। যেখানে রাষ্ট্রায়ত্ব শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা সেখানে পোষাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি অর্ধেকেরও কম। এটি কিন্তু চরম বৈষম্য। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, তারা যে পরিমাণ উৎপাদন করে, যে পরিমাণ রপ্তানি আয় হয় তার ভিত্তিতে যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসে সেটি দিয়েই কিন্তু দেশের উন্নয়নের চাকা ঘোরে। দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এই পোষাক শিল্প থেকে। তাই আমি মনে করি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন পোষাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছে এটি অত্যন্ত যৌক্তিক। এবং ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করার যে ঘোষণা করা হয়েছে আমি তা প্রত্যাখান করছি। পরিচিতি : বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নির্বাহী সদস্য/মতামত গ্রহণ : ফাহিম আহমাদ বিজয়/সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :