শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৫ রাত
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যদি পৃথিবীর উপর চন্দ্র আছড়ে পড়ে কী হবে?   

মিজানুর রহমান : বন্ধুরা আজ আমরা একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিষয় নিয়ে জানব। একবার ভাবতো, যদি পৃথিবীর উপর চন্দ্র আছড়ে পড়ে? তখন কেমন হবে ভেবে দেখেছো! কী এই পৃথিবী ধ্বংস হবে? না চন্দ্র নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে? আশা করি তুমি নিজে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছ, তাই না? চলো এবার আমরা যুগলভাবে চিন্তা করি। সৌরম-লে পৃথিবী অবস্থিত, এখন হঠাৎ যদি চন্দ্র পৃথিবীর উপর আছরে পড়ে তাহলে কেমনভাবে ধ্বংস হবে আমাদের এই পৃথিবী? আমরা জানি, পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপরও আবর্তন করে বা পাক খায়। তোমরা নিশ্চয়ই লাটিম নিয়ে  খেলেছো?  লাটিম কীভাবে  ঘোরে?  নিশ্চয়ই তা দেখেছো, লাটিম তার সরু আল-এর উপর দাঁড়িয়ে নিজে নিজে ঘুরপাক খায় বা আবর্তন করে। একই সাথে মাটির উপর বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার পথে এক স্থান থেকে অন্য স্থান হয়ে ঘুরে আসে।

পৃথিবী দেখতে পুরোপুরি গোলাকার নয়, বরং কমলালেবুর মত উপর ও নিচের দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ (নিরক্ষরেখার কাছাকাছি) স্ফীত। এধরনের স্ফীতি তৈরি হয়েছে নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে এর ঘূর্ণনের কারণে। একই কারণে বিষুব অঞ্চলীয় ব্যাস মেরু অঞ্চলীয় ব্যাসের তুলনায় প্রায় ৪৩ কিমি বেশি। এখন চন্দ্র  যদি একটি গতিতে পৃথিবীর উপর আছরে পড়ে। তাহলে পৃথিবীর যে মেরুতে চন্দ্র আছড়ে পড়বে। ঠিক সেই মেরুটি অগ্নিফুলকির মত ছড়িয়ে পড়বে। এবং পৃথিবী চন্দ্রকে তার ভেতরে  ঢুকিয়ে নেবে। এবং ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে পুরো পৃথিবী আগুনের মত লাল হয়ে অগ্নিপি-ে পরিণত হবে। যার ফলে পৃথিবী একটি সরলরৈখিক গতির সঞ্চার হবে। ইতিমধ্যেই সকল জীবস্রষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে মৃত্যুবরণ করবে। মনে হবে যে, পৃথিবিটা দ্বিতীয় আরেকটি সূর্যের ন্যায়। কি আশ্চর্যের বিষয় তাইনা? নিশ্চই তুমিও ঠিক এভাবেই চিন্তা করেছ।

আমরা জানি, পৃথিবীর ভর প্রায় হ্ন৫.৯৭ ২৩৭ দ্ধ ১০২৪ কিলোগ্রাম। এর প্রায় ৩২.১% লৌহ, ৩০.১% অক্সিজেন, ১৫.১% সিলিকন, ১৩.৯% ম্যাগনেসিয়াম, ২.৯% সালফার, ১.৮% নিকেল, ১.৪% অ্যালুমিনিয়াম এবং বাকি ১.২% অন্যান্য পদার্থ দ্বারা গঠিত। তবে পৃথিবীর  কেন্দ্রভাগের গঠন কিছুটা ভিন্ন; এর প্রায় ৮৮.৮% ভাগই লৌহ। এছাড়া আছে নিকেল (৫.৮%) ও সালফার (৪.৫%)। আর চন্দ্রের ভর  ৭.৩৪২ দ্ধ ১০২২ কিলোগ্রাম। পৃথিবীর  কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৪০৩ কিলোমিটার (২৩৮,৮৫৭ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের  চেয়ে সামান্য বেশি। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। এর পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বল পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলের এক-ষষ্ঠাংশ।

এবার আমরা একটু বিপরীতভাবে চিন্তা করি : যদি চন্দ্রের উপর পৃথিবী আছড়ে পড়ে তাহলে কিভাবে ধ্বংস হবে? চাঁদ ভেঙ্গে যাবে না, চাঁদের উপর পৃথিবী প্রবেশ করবে। কিভাবে হবে?

ধরি, পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট গতি নিয়ে চাঁদের উপর আসছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পৃথিবী খুব ধীর গতিতে চাঁদের উপর প্রবেশ করে। পৃথিবী যে  মেরু দিয়ে চাঁদকে প্রবেশ করিয়েছে, খুব ধীরে ধীরে পৃথিবীর ঐ মেরু কালো হয়ে পরে অগ্নিপি-ে পরিণত হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর সম্পূর্ণ পৃথিবী উজ্জল হয়ে সূর্যের ন্যায় রুপ ধারণ করে। তো বন্ধুরা, দু’টি ব্যপার আমরা খুব ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাব, পৃথিবীর উপর চন্দ্র আছড়ে পড়লে পুরো ব্যপারটা খুব দ্রুত সংগঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়