মো.সাদ্দাম হোসেন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও চিনিকলের অস্তিত্ব রক্ষায় অবশেষে শ্রমিক -কর্মচারীরা নেমে পড়েছেন আখ চাষে। আখ সংকট দুরীকরণ ও চিনি আহরণের হার বাড়াতে এ উদ্যোগ, দাবি কর্তৃপক্ষের।
তবে, শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেছে, চারমাস ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। আর আখ চাষিরা বলেছে, আখের টাকা সময়মতো পরিশোধে মিল কর্তৃপক্ষের গড়িমসি এবং সার-কীটনাশক সরবরাহে দেরী।এ কারণে দিন দিন আখের আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা।
জমি নেই অনেকের, তাই চাকরি বাচাঁতে জমি ভাড়া নিয়ে আখ চাষ করছে ঠাকুরগাঁও চিনিকলের শ্রমিক -কর্মচারীরা। মিল কর্তৃপক্ষের এই আদেশ সাদরে গ্রহণ করলেও মনে আনন্দ নেই তাদের। মাসের পর মাস বেতন -ভাতা বন্ধ।পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। এ অবস্থায় আখ ক্ষেতের পরিচর্যা ও মানসম্মত আখ উৎপাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও চিনিকল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আব্দুস শাহী বলেন, মিলের উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় বেতন - ভাতা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর আখ চাষের জন্য কৃষি উপকরণ ও ঋণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে মিলে আখ সরবরাহ করে সময় মতো টাকা পায়না এমন অভিযোগ চাষিদের। তার উপর আখ চাষের উপকরণ, উন্নতজাতের বীজ সরবরাহ না করাসহ নানা কারণে আখের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তারা। আখের জমিতে গম-ভুট্টা, সবজি লাভজনক ফসল ও ফলমূল চাষ করছে তারা।
গেল মৌসুমে ১লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও মাড়াই হয় সাড়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক.টন চিনি। এই পরিমাণ আখ থেকে উৎপাদন হয় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক.টন চিনি। উৎপাদিত চিনি অবিক্রিত থাকায় চরম অর্থ সংকটে পড়েছে চিনিকল।
মিলে পরে আছে ৪ হাজার ৯শ ৪৩ মে.টন চিনি। এবার আখ সংকট মোকাবিলায় ৮ হাজার একর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় । তবে আবাদ হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার একর জমিতে। আর এর মধ্যে শ্রমিক কর্মচারীরা আবাদ করেছে ৬শ একর জমিতে।
আপনার মতামত লিখুন :