মুনশি মুহাম্মদ আবু দারদা কাসেমী: সততা ও সত্যবাদিতা মানুষকে সুন্দর, সঠিক ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। আর যদি এ মহৎ গুণটি না থাকে তবে মানুষ হিংস্র হয়ে উঠে, তার ভিতরে পাপবোধ কাজ করে না। যখন-তখন, যেখানে-সেখানে এসব মানুষ অন্যায় কাজ করে সমাজ কলুষিত করে। মানবতা বলতে তাদের মধ্যে কিছুই থাকে না। জীবনে সফলতা লাভ করতে হলে সততা ও সত্যবাদীতার পথ অনুসরণ করতে হয়। সত্য ও সততা থাকলে মানুষের মধ্যে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি থাকবে না। কেউ দুর্নীতি করবে না, ঘুষ নিবে না, অবৈধ উপায়ে উপার্জনের চেষ্টা করবে না। সবাই সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।
কোরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, হে মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও (সূরা তাওবা ১১৯) হাদীস শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, সত্যবাদীতা সৎকর্মের পথ দেখায় আর সৎকর্ম জান্নাতের পথ দেখায়এ মানুষ যখন সত্য বলে তখন তার নাম আল্লাহর কাছে সত্যবাদীদের খাতায় লেখা হয়। মিথ্যা খারাব রাস্তা দেখায় আর খারাব জাহান্নামে নিয়ে যায়। যখন মানুষ মিথ্যা বলে তখন আল্লাহর কাছে তার নাম মিথ্যাবাদী সাব্যস্থ হয়। সত্য বলা ভালো মানুষের অনেক বড় গুণ ও আলামত! আল্লাহ তায়ালার নিকট সব থেকে প্রিয় ওই ব্যক্তি যে সর্বদা সত্য বলে, আর সব থেকে খারাব ঐ ব্যক্তি যে মিথ্যা বলে। আল্লাহ তায়ালা যতো আন্বিয়া (আ:) প্রেরণ করেছেন সকলে সথ্যবাদি ছিলেন, মিথ্যাবাদী নবী তো দূরেরে কথা ওয়ালী বযুর্গও হতে পারে না! এমনকি একজন ভালো মানুষে পরিণত হতে পারে না। আর যে ব্যক্তি মিথা বলে সে গুনাহগার ফাসেক, না তার কোনো ইবাদত কবুল হয়, না তার কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়, মিথ্যাবাদীর কিছুই গ্রহণযোগ্য না। ইবাদত এবং সাক্ষ্য সত্যবাদী ব্যক্তিরই গ্রহণ করা হয়। এমনকি মিথ্যা বলা মুনাফিকের বড় আলামত। হাদীস শরীফে রাসুল সা: ইরশাদ করেছেন মুনাফিকের আলামত তিনটি এক. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে দুই. যখন ওয়াদা করে ওয়াদা ভঙ্গ করে তিন. যখন তার কাছে কোন কিছুর আমানত রাখা হয় তখন সে আমানতের খেয়ানত করে। লেখক: ফাযেল দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।
আপনার মতামত লিখুন :