শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:০৭ সকাল
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রংমিস্ত্রি স্বামী হত্যায় বাজেট ১ লাখ টাকা!

ডেস্ক রিপোর্ট : ফেনীর খয়রা এলাকায় রংমিস্ত্রির কাজ করতেন মনিরুজ্জামান মনির (৩৫)। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার মনিরামপুরে। সেখানেই দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন মনিরের স্ত্রী কাজল রেখা। স্বামী ফেনীতে থাকায় তারই আপন ছোট ভাই ঢাকার কড়াইলের বাসিন্দা আজমল হক মিন্টুর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কাজল।

দেবর-ভাবির মধ্যে দীর্ঘ ৮-৯ বছর ধরে চলে পরকীয়া প্রেম। সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় মনির। মিন্টু তার ভাবি কাজলকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি বলেন, ‘বিয়ে করতে হলে তোমার ভাইকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে।’

ভাবির ওই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান মিন্টু। মনিরকে হত্যা করতে তিন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে এক লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। সম্প্রতি ফেনী থেকে দিনাজপুরে গ্রামের বাড়িতে যান রংমিস্ত্রি মনির। তখনই হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় ভাইকে ফোন করেন মিন্টু, বলেন- আমি বিয়ে করবো, ঢাকায় মেয়ে দেখেছি, তুমি এসে দেখে যাও। ছোটভাইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে দিনাজপুর থেকে ঢাকার গাবতলী আসেন মনির।

অন্যদিকে মনির ঢাকায় আসার আগেই তিন ভাড়াটে খুনি আব্দুল মান্নান, সোহাগ ওরফে শাওন ও ফাহিমকে প্রস্তুত রাখে মিন্টু। গাবতলীতে এসে ঢাকা শহর ভালোমতো না চেনায় ছোটভাইকে ফোন করেন মনির। তখন মিন্টু ভাড়াটে খুনি মান্নানের মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভাইকে বলেন- তুমি এই নাম্বারে যোগাযোগ করো, সে তোমাকে জায়গামতো নিয়ে আসবে।

পরে মিন্টুর পরিকল্পনা অনুযায়ী কিলার মান্নান বাড্ডা সাঁতারকুলের নির্জন স্থানে মনিরকে নিয়ে যায়। এসময় ভাড়াটে খুনি শাওন ও ফাহিম সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের হাতে ছুরি ছিল। এই ছুরি দিয়ে মনিরের গলায় প্রথমে ফাহিম, এরপর মান্নান আঘাত করে। মনির মাটিতে পড়ে যায়। এরপর তাদের নির্দেশ মতো শাওন ছুরি দিয়ে মনিরের পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যার পরিকল্পনাকারী মিন্টু ও তিন ভাড়াটে খুনি আব্দুল মান্নান, সোহাগ ওরফে শাওন ও ফাহিমকে গ্রেফতার করে বাড্ডা থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২টি সুইচ গিয়ার চাকু ও মনিরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, মনিরের স্ত্রী কাজল রেখার সঙ্গে মনিরের আপন ছোট ভাই আজমল হক মিন্টুর ৮/৯ বছর ধরে পরকীয়া চলছিল। তাদের এই সম্পর্ক স্থায়ী করতে একমাত্র পথের কাঁটা স্বামী মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কাজল ও মিন্টু।

হত্যার পরিকল্পনা হিসেবে তারা ১ লাখ টাকার ‍চুক্তিতে ঢাকার তিন পেশাদার খুনিকে ভাড়া করেন। অগ্রিম হিসেবে তাদের ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়াটে খুনিরা মনিরকে হত্যা করে।

পরে পরিকল্পিতভাবে খুনের দায় এড়ানোর জন্য আজমল হক মিন্টু নিজেই বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পশ্চিম দিকে হিন্দুপাড়ার খোলা মাঠে গলা কাটা এবং পেটে ছুরিকাঘাত করা একটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মৃতের আত্মীয় স্বজন ও ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু ঢামেকে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।-পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়