শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৪:৪১ সকাল
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৪:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ হবে না

আবুল বাশার নূরু : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সরকারের কোন উন্নয়ন দেখেন না তারা চোখ থাকতে অন্ধ। তাদের মনের দরজা বন্ধ। এ সরকারের ভাল কাজ তাদের চোখে পড়ে না। যারা মানুষ হত্যা করে, গ্রেনেড হামলা করে, অর্থ লুটপাট করে তাদেরই তারা পছন্দ করে। তারা থাকেন কিছু একটা আশায়। যদি কিছু একটা হয়। কিন্তু উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। উত্তরপাড়া থেকে কেউ সাড়া দেবেন না। তাদের কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। এমন মানসিকতা কারোর নেই। তবে কেউ যদি আমাকে এসে মেরে ফেলে ফেলতে পারে। যেমনটি পচাত্তরে করেছিল।

শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, দারিদ্রহার কমেছে, শষ্য উৎপাদনে আমরা এগিয়ে গেছি। কিন্তু এসব ভাল কাজ তাদের চোখে পড়ে না। শেখ হাসিনা বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যই মানুষ আবার নৌকায় ভোট দেবে। তিনি বলেন, আমি ছয় মাস পর পর সার্ভে রিপোর্ট করছি। আমাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। দু’একজন বাদে অধিকাংশ এমপিদের অবস্থা ভাল। টানা দুই বার ক্ষমতায় থাকা এবং সেইসাথে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সচরাচর হয় না। কিন্তু আমরা পেরেছি। কারন, জাতির জনক আমাদের সেই আদর্শ শিখিয়েছেন। দিনরাত আমি মানুষের জন্যই কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করেছি। এসব উন্নয়ন কারো চোখে পড়ে না।বিএনপি মিথ্যাচারে চ্যাম্পিয়ন। তাদের দলের মহাসচিবকে নাকি জাতিসংঘের মহাসচিব আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এমন অপপ্রচার করলেন দেশের ভেতর। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখলাম, জাতিসংঘের মহাসচিব সেসময় ছিলেন ঘানায় কফি আনানের অন্তোষ্টেক্রিয়ার অনুষ্ঠানে। জাতিসংঘ থেকে আমাদের বলা হল, মহাসচিব তাদের আমন্ত্রণ জানাননি। বরং তারাই দেখা করতে চেয়েছেন। এমন নাটক করার দরকার কী? মিথ্যাচার করার দরকার কী? এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্য হয়। এমন মিথ্যাচার, ধোকাবাজি, ভাওতাবাজিতে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন। এর আগেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন সরকার গঠন করেন তখন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর টেলিফোন আলাপ নিয়ে তারা এমন মিথ্যাচার করেছিল। কেউ অপকর্ম করলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করলে বরদাশত করা হবে না।

আমেরিকাতে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এত টাকা তারা পেলেন কোথায়? এর আগে তারা জয়কেও হত্যাচেষ্টা করেছিল। আমেরিকার এফবিআই কর্মকর্তাকে কিনেছিল। এসময় ষড়যন্ত্রে কারা লিপ্ত ছিল তা সবাই জানে। শফিক রহমান ও মাহমুদুর রহমানের নাম এ প্রসঙ্গে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এমডি পদ চলে যাওয়ায় হিলারীকে দিয়ে ইউনুস পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করল। আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনল। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। এক ফোটা দুর্নীতিও পায়নি। তারেক রহমান এত টাকা পায় কোথায়? বিলাসী জীবন যাপন করে, তিনটা গাড়ি রয়েছে তার। অথচ আমার বোন লোকাল গাড়িতে চড়ে। যারা অর্থ লুট করে, এতিমের টাকা মেরে খায় দেশবাসিকে বলব তাদের পরিহার করুন। যুক্তফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের স্বাগত জানাই। তারা রাজনীতি করুক। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটা প্লাটফরম তো থাকা দরকার। কিন্তু অন্যকিছু ভাবলে তাদের আশা পুরণ হবে না।

যুক্তফ্রন্ট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তারা অভিযোগ করেছে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়া হয়নি। আসলে সেখানে আরও কেউ জনসভা করতে চেয়েছিল। তাই হয়তো যাচাই বাচাই করতে গিয়ে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ডিএমপিকে বলব, তাদের যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়া হয়, প্রয়োজনে স্থায়ী একটা মঞ্চ করে দেওয়া হবে যেন তারা ৬০-৭০ জন মিলে গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করতে পারেন। প্রয়োজনে লোকও দেব।

আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের গ্রেফতার সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রথম দুইদিন খুবই ভাল ছিল আন্দোলন। পুলিশ, আমার দলের নেতাকর্মী, এমপি মন্ত্রীদের বলেছিলাম- ধৈর্য ধরুন। শিক্ষার্থীরা যা বলে তা শুনুন। কিন্তু এর মাঝে তৃতীয় পক্ষ নেমে গেল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। একজন আতেল তো আল জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিলেন, এখানে নাকি গণহত্যা চলছে। আল জাজিরা ক্ষমা চাইল তাদের ভ‚ল সংবাদ পরিবেশনের জন্য। আবার কেউ ফেসবুকে বললেন, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তিনি যেখান থেকে বললেন, পেছনে তো অন্য সাইনবোর্ড ছিল। দরজিপাড়ায় স্কুলড্রেস বানানোর ধুম পড়ে গিয়েছিল, পলাশীতে ভির আইডি কার্ড বানানোর। এদের অপপ্রচারের কারনে আমার পার্টি অফিসে হামলা হল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হল। যারা গুজব রটিয়েছে মিথ্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেবই।

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর রুদ্ধদার বৈঠক শুরু হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়