মতিনুজ্জমান মিটু : ঢেমশি। ইংরেজি নাম বাকহুইট। বিশ্বের ৫টি সেরা খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। এটি একটি আলৌকিক ফসল যাতে রয়েছে মানবদেহের জন্য অতি জরুরী অনেক পুষ্টি উপাদান। অধিক পরিমাণ আমিষ থাকায় গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য অতি জরুরী এই ঢেমশির ভাত। এমনই দাবি করেছে বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন।
সংগঠনটির সভাপতি মু. আব্দুস সালাম বলেন, ঢেমশি ঠিক ভাতের মতই। বরং পুষ্টিগুন ভাতের চেয়ে অনেক বেশী। এতে রয়েছে ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সব্জি এবং ফলের প্রায় সব পুষ্টি উপাদান। এই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল, এ্যামাইনো এসিড এবং ইলেক্ট্রোলাইট।
কম পরিমাণ শর্করা এবং অধিক পরিমাণ ফাইবার থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, অধিক পরিমাণ ফাইবার থাকায় কোষ্ট-কাঠিন্য দূর করে এবং মন ও দেহ সুন্দর রাখে, হাঁড়ের ক্ষয় রোধ এবং মজবুত করে বলেই ঢেমশি‘র ভাত খেলে শরীরে ব্যাথা থাকেনা। ক্যান্সারসহ বিভিন্ন প্রকার জটিল রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে সহায়তা করে এই ঢেমশি। আমিষ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক থাকায় শিশুর ওজন, উচ্চতা, মেধাশক্তি ও হিমোগ্লোবিন লেভেল বাড়িয়ে দেয় ঢেমশির ভাত।
তিনি বলেন, সিদ্ধ করতে ভাতের চেয়ে অর্ধেকেরও কম সময় এবং পানি লাগে। তেলমুক্ত সবজি দিয়েও ঢেমশির ভাত খাওয়া যায়। পঞ্চগড়, নিলফামারি, কুড়িগ্রাম, দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুরে দীর্ঘদিন যাবত ঢেমশির চাষ হয়ে আসছে। দেশে বর্তমানে এক কেজি ঢেমশি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
আপনার মতামত লিখুন :