সাজিয়া আক্তার : দীর্ঘ মেয়াদে বড় বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ। সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়াকে এর অন্যতম কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মহাপরিচালকের দাবি অল্প সময়ের মধ্যে সুনাম অর্জন করবে পিপি।
২০০৯-১০ অর্থবছরের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব পিপিকে নব উদ্যোগ বিনিয়োগ প্রয়াস নাম দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আশা করেন এর মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিবছর ৩৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আসবে। যা ব্যবহারের জন্য প্রতি বাজেটে বরাদ্দও দেওয়া হয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় বরাদ্দের অর্থ পুরোপুরি খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমানে পিপির মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য পাইপ লাইনের জন্য রয়েছে ৪৮টি প্রকল্প। ৮ বছরে শেষ হয়েছে মাত্র দুটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি হচ্ছে না।
বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, সরকারি অর্থায়নে আমরা অবকাঠমো তৈরি করি, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি থাকার ফলে সেটা টেকসই হয় না।
তবে মহাপরিচালকের দাবি সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সময়মত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ঢাকা বাইপাসসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। যদিও অবকাঠামো উন্নয়নে এর বিকল্প নেই। তাই সরকারি এবং বেসরকারির পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পিপিকে আরো বেশি কার্যকর করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :