শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:২১ রাত
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারেক রহমানকে সারেন্ডার করতে বললেন ‘আসল বিএনপি’র নাসিম

শিহাবুল ইসলম : বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ‘আসল বিএনপি’র কামরুল হাসান নাসিম বলেছেন, তারেক রহমানকে দেশে এসে সারেন্ডার করতে বলুন।মা বেগম জিয়াকে বিশ্রাম দেওয়া হোক। দল গণতান্ত্রিক উপায়ে চলবে।আমরা জাতীয় নির্বাচনের পরে ক্রেডিবল কাউন্সিল করব। দল চলবে জিয়া-যাদু মিয়ার চুক্তির আলোকে ও আদর্শের অনুরণিত থেকে।

রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ওয়েস্টিন হোটেলে শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসিম বলেন, দলের মধ্যে (বিএনপি’র মধ্যে) গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ৫টি অসুখ সারানোর জন্য বিএনপি পুনর্গঠন করার কাজে রয়েছি।এই দলকে গড়তে চাই নতুন করে। ভাঙতে নয়। ভেঙ্গেছেন কারা? ওই বি চৌধুরী চাচারা, ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদারা, দল করার নামে তারা সমিতি খুলেছেন। এখন একেক জনের ক্ষমতার অংশিদারিত্বের সূতো নেয়ার অভিনব নানা মতলব করছে তারা।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, আপনারা আমার সঙ্গে বসুন। জামায়াত ছাড়ুন। দুষ্টু দলগুলো ছাড়ুন। তারেক রহমানকে দেশে এসে সারেন্ডার করতে বলুন। মা বেগম জিয়াকে বিশ্রাম দেওয়া হোক। দল গণতান্ত্রিক উপায়ে চলবে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের পরে ক্রেডিবল কাউন্সিল করব। দল চলবে জিয়া-যাদু মিয়ার চুক্তির আলোকে ও আদর্শের অনুরণিত থেকে। রাজনৈতিক দর্শন রেখে আমরা বিএনপিকে জনস্বার্থ সংরক্ষণের দল করবো। বিদেশি শক্তির উপর আর নির্ভরশীলতা নয়, অসৎ উদ্দেশ্যের কামাল হোসেনদের প্রয়োজন নেই আমাদের। আর কোন নাশকতা করা যাবে না তারেক রহমানের কথায়। অনেক সুযোগ তাঁকে দেয়া হয়েছে। তিনি যদি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে না আসেন তবে দল নিয়ে তার না ভাবলেও চলবে। আমরা চালাবো বিএনপিকে।

তিনি আরও বলেন, দলে আমার দর্শনকে মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত ৩০০ সংসদীয় আসনের প্রায় ৩২০ জন নেতা। তাঁরা কার্যকরী সংসদে যেতে চায়। তাঁরা মনে করে, একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপিই রাষ্ট্রীয় ক্ষতায় যাওয়ার ফেভারিট দল। সাথে ২০ দল ছেটে জামায়াত মুক্ত হয়ে মোট ৫টি নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দল নিয়ে তারা নির্বাচনে যেয়ে পুনরায় সেরা রাজনৈতিক দল তথা জোট হতে চায়। কাজেই সময় আসছে। মহাসমাবেশের মাধ্যমে তেমন ঘোষণা আসতে পারে। তখন একবারে ৩২০ জন নেতাকে একযোগে দেখবেন। কিন্তু দলের বড়-সড় সিদ্ধান্ত ছাড়া আমি কাউকে বিপদে রাখতে চাই না বলেই আজ প্রায় চার বছর একা কথা বলছি।

এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচন উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩১ জনের নামও প্রস্তব করেন। এতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

এ ছাড়া, ডক্টর মঈন খান, আসাদুজ্জামান নূর, সলিমুল্লাহ খান, ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, হাসানুল হক ইনু, জি এম কাদের, হায়দার আকবর খান রনো, ডক্টর জাফরউল্লাহ, শাহেদা ওবায়েদ, মোহাম্মদ এ আরাফাত, নাঈমুল ইসলাম খান,
আলমগীর হোসেন, তৌফীক ইমরোজ খালিদী, কর্নেল (অব) অলি আহমেদ,

জেবেল রহমান গাণি, শাজাহান খান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আনিসুল হক, সাবের হোসেন চৌধুরী, শাহরিয়ার আলম, তোফায়েল আহমেদ, গওহর রিজভী, এইচ টি ইমাম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নুরুল কবীর।
সম্মেলনে নাসিম বলেন, ‘এই ইস্যুতে সরকারি দলের পক্ষ থেকে একেক সময় একেক ধরণের বক্তব্য রাখা হচ্ছে। আমি মনে করি, রাজনৈতিক অর্জন জনপ্রতিনিধি হওয়ার মধ্যেই কেবল নিহিত থাকতে পারে না। কাজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রতিনিধিত্ব মূলক সত্তাদের জায়গা হোক। সার্বিক ভাবে নানা দিক বিবেচনা করে এই সরকারে জায়গা পাক রাজনীতিক হতে শুরু করে পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, ‘আপনি সংলাপের আয়োজন করুন। আপনার সাথে বসেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করা যায় বটে। আমরা, নাকি আপনার দল, ক্ষমতায় যাবে তা ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক। জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার দৃষ্টন্তে যেয়ে গণতান্ত্রিক চাওয়া-পাওয়াকে মূল্যায়ন করার উদাহরণ সৃষ্টি করি। আমরা বসব বাংলাদেশের জন্য। ১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পর যেদিন আপনি বাড়ির লনে সংবাদ সম্মেলন করে সব কিছু ঠিক আছে বলেছিলেন, এবার তেমন করে হবে না। সংলাপ ছাড়া, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি ছাড়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা না থাকলে একটা কথাই বলবো। নিজেদের মধ্যে ঐক্য হোক না হোক আমরা আপনার রাজনৈতিক বিরোধীতায় যাবো। আমি বিশ্বাস করতে চাই বাংলাদেশকে আপনি অতিরিক্ত পর্যায়ে ভালবাসেন। কাজেই চলুন, ঐক্যের মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা খুঁজি।
উল্লেখ্য, বিএনপি পূর্ণগঠনের ডাক দিয়ে ২০১৫-১৬ সালে দেশের রাজনীতিতে বেশ আলোচনায় এসে ছিলেন ‘আসল বিএনপি’র কামরুল হাসান নাসিম। তিনি ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি বিএনপি পুনর্গঠনের ডাক দেন। যখন বিএনপি’র ডাকা টানা ৯২ দিনের অবরোধ-হরতাল চলছিল। এর সপ্তাহখানেক পর ১৭ জানুয়ারি তিনি বিএনপির ৫টি অসুখ হয়েছে এবং নিজেকে একজন ওষুধওয়ালা হিসেবে দাবি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়