নূর মাজিদ: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে সহসাই কোন উন্নতি আসার সম্ভাবনা নেই, মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এমনটাই ধারনা। বিশেষ করে, ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্ক দেয়ার পদক্ষেপ থেকে মোটেও পিছিয়ে আসবেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ এর পেছনে তার উদ্দ্যেশ্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। মার্কিন জনগণের কাছে ট্রাম্প নিজেকে একজন অর্থনীতিবান্ধব প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুলে ধরতে চান। একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিকে পরিণত করেছেন জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ইস্যুতে। মধ্যবর্তী মার্কিন নির্বাচনে এসব ইস্যুকে কেন্দ্র করেই নিজেদের প্রচারণা চালাবে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি। ফলে এই মুহূর্তে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় কোনো আগ্রহ দেখাবেনা হোয়াইট হাউজ।
তবে হোয়াইট হাউজ না চাইলেও মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ কিছু অংশ চাইছে চীনের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিক যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একতরফা সিদ্ধান্তে মার্কিন অর্থনীতির বিভিন্নখাত ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকা করেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন ন্যুচিন। তিনি ট্রাম্প এবং চীনের মাঝে একটি গঠনমূলক আলোচনা শুরু করবার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প পুনরায় নাফটা এবং ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে আগ্রহী। এসব চুক্তি সম্পাদনের পর শুধু চীনের ওপরেই মার্কিন শুল্কের বোঝা থাকবে। যা রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করে ফেলেছেন ট্রাম্প। এই বিষয়ে শুক্রবার হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাব এবং আমাদের বাণিজ্য দুশ্চিন্তা নিয়ে চীনকে উদ্বিগ্ন হতে বাধ্য করব। সিএনবিসি
আপনার মতামত লিখুন :