ইমরুল শাহেদ : অনেকটা আকস্মিকভাবেই আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার বিরোধী দলীয় নেত্রী ভিক্তয়ার ইঙ্গবায়ার ও সঙ্গীতজ্ঞ কিজিটো মিহিজোসহ ২ হাজার ১৪০ রাজবন্দিকে শনিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি।
তার আগে শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আদেশটি অনুমোদন লাভ করে। গত জুন মাসে ইঙ্গবায়ার ও কিজিটো ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করেছিলেন। ইঙ্গবায়ার কিগালির ম্যাগারাগিরি কারাগার থেকে ছাড়ার সময় বলেছেন, ‘আমাকে মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আশা করছি, রুয়ান্ডায় এখন থেকে এই ঘটনা দিয়েই রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পথ খোলা হলো।’
ইঙ্গবায়ার প্রেসিডেন্ট পল কাগামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং অন্যান্য রাজবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তবে এখনো শত শত রাজবন্দি কারাগারে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন ডিয়ানে রুইগারা। তিনি গত বছরের নির্বাচন থেকে বাদ পড়ে গেছেন এই অভিযোগে যে, তাকে দিয়ে জোর করে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দিয়েছেন।
বিরোধী দলীয় নেত্রী ইঙ্গবায়ার নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে হুতু জাতির নেতা। তিনি ২০১০ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। নেদারল্যান্ডসের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি যখন রুয়ান্ডা ফিরে আসেন তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ আনা হয় তিনি সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার সঙ্গে যুক্ত। তাকে গণহত্যা ও বিভাজনবাদের জন্য ১০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। ইঙ্গবায়ার রুয়ান্ডার ১৯৯৪ সালের গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই ঘটনায় টুটসি জাতির আট লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছিল।
মিহিজোর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে ১০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :