সাজিয়া আক্তার : বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। আর এই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বহুল কাক্সিক্ষত বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একধাপ এগিয়েছে। প্রথম ধাপের ৬৭ একর জমির মূল্য হিসেবে ৩৫২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নতুন এই টার্মিনালকে শতভাগ ব্যবহার করতে পারলে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বন্দরের তালিকায় স্থান করে নেবে চট্টগ্রাম বন্দর।
২০১৩ সালে গৃহীত ত্রিশ বছরের মাস্টার প্ল্যান দীর্ঘদিন আলোর মুখ দেখেনি চট্টগ্রাম বন্দর। নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পুরোদমে চালু, কেসিটি ও বে-টার্মিনাল নির্মাণসহ প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ছিল প্রায় তিন বছর ফাইলবন্দি।। অবশেষে প্রথম দফায় জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চেক হস্তান্তরের মাধ্যমে সে জট খুললো।
বন্দরে প্রতিবছর ২৩ লাখ টিইউএস কন্টেইনার আর ৬ কোটি টন খোলা পণ্য হ্যান্ডেলিং করার সক্ষমতা থাকলেও এখনই প্রায় ৩০ লাখ টিইউএস কন্টেইনার আর ৮ কোটি টন খোলা পণ্য আমদানী ও রপ্তানির চাহিদা রয়েছে। তাই বড় আকারের টার্মিনাল নির্মাণের দাবি ছিলো ব্যবসায়ীদের।
চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, জমি অধিগ্রহণের ফলে কন্টেইনারের যে সমস্যা ছিল তা আর থাকবে না। এর ফলে আমদানি ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা শতভাগ বৃদ্ধি পাবে।
বে-টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ ও পর্যায়ক্রমে ৩০ লাখ টিইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং হবে। কমে যাবে জাহাজের গড় অবস্থান। ১২ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ আসা-যাওয়া করতে পারবে সব সময়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ বলেন, এই টার্মিনাল নির্মাণ করলে চট্টগ্রাম বন্দরের হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা প্রায় ৪ গুন বৃদ্ধি পাবে। জোয়ার-ভাটা নির্ভতা দূর হবে। এছাড়া বড় ধরনের ১৪ থেকে ১৫ টি জাহাজ সব সময় আসা যাওয়া করতে পারবে।
বে-টার্মিনালের কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে জার্মানভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেলরন-এইচপিসি-কেএস জেভি। ২০২১ সালে শেষ হবে কাক্সিক্ষত বে-টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ।
সুত্র : ডিবিসি টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :