শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু বাবলী

সাদিকুর রহমান সামু, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছতিয়া গ্রামের বাবলী বেগম নামে সাত বছরের এক শিশু বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছেনা শিশুটির। ফলে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু বাবলী যন্ত্রণায় ছটফট করছে। দুই বছর বয়সে বাবলী বিরল রোগে আক্রান্ত হয়।

কমলগঞ্জের ছতিয়া গ্রামের মকরম আলীর কন্যা খাতুন বেগমকে বিয়ে করেন সিলেটের বিয়ানীবাজারের প্রেম গ্রামের চান্দু মিয়ার পুত্র সফর মিয়া। তাদের সংসারে এক পুত্র ও চার কন্যা সন্তানের মধ্যে শিশু বাবলী বোনদের মধ্যে ছোট। শিশু বাবলী বিরল রোগে আক্রান্ত হলে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে সফর চলে গেলে পাঁচ সন্তান নিয়ে কমলগঞ্জের ছতিয়া গ্রামে বাপের বাড়িতে উঠেন।

শিশুটির মা খাতুন বেগম জানান, বাবলীর বয়স যখন দুই বছর তখন তার ডান পায়ে প্রথমে ব্যথা হয়। পরে ধীরে ধীরে পা ফুলে গেলে তিনি শিশু কন্যা বাবলীকে নিয়ে প্রথমে কবিরাজের দ্বারস্থ হন। কবিরাজি চিকিৎসায় বাবলীর অবস্থার উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হলে রোগাক্রান্ত শিশুকে নিয়ে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তার রোগটি শনাক্ত করতে পারেননি।

এমতাবস্থায় শিশু বাবলীর পা ফুলে মারাত্মক আকার ধারণ করে। এতে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে বাবলী। তা দেখে ২০১৬ সালে স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালে শিশুটির রোগ শনাক্ত করতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও শিশুটির রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা রোগাক্রান্ত বাবলীর রোগ নির্ণয়ের জন্য তার পায়ের কিছু অংশ কেটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে আসা রিপোর্টে কি ধরা পড়েছিল তা জানাতে পারেননি শিশুটির মা।

তবে, চিকিৎসকরা শিশুটিকে সুস্থ করতে পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা শিশুটিকে ভারতের মাদ্রাজ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি তার শিশু সন্তান বাবলীকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে বাড়িতে রেখে তার মা কবিরাজি ও পল্লী চিকিৎসা করাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটির মা খাতুন বেগম বলেন, জ্বালানি লাকড়ি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে ভাত খাই। কি করে আমার বুকের ধনকে ভারত নিয়ে চিকিৎসা করাবো। রোগাক্রান্ত শিশু বাবলীর চিকিৎসার প্রধান বাধা পরিবারের অসচ্ছলতা। এর ফলে বিরল রোগের যন্ত্রণায় বিছানায় ছটফট করছে। তা দেখে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করতে করতে বাবলীর মাও আজ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রোগ যন্ত্রণায় একদিকে শিশু বাবলী ছটফট করছে অন্যদিকে সন্তানের জন্য মায়ের আর্তনাদ ভারি করছে পরিবেশ। পিতাহারা অসহায় এই শিশুটির চিকিৎসায় সরকার বা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে হয়তো নতুন জীবন ফিরে পাবে শিশু বাবলী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়