শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:৪৯ সকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩০ কেজি চালের বস্তায় ২৪ কেজি চাল

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাটঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ টাকা কেজির চাল ৩০ কেজির বস্তায় পাওয়া যাচ্ছে ২৪ কেজি এমন খবর পাওয়া গেছে । আর চাল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন হতদরিদ্র কার্ডধারী ক্রেতারা। ৩০ কেজির ইনটেক বস্তায় ৫-৬ কেজি করে কম থাকায় শুক্রবার দুপুরে কয়েকটি বস্তা জব্দ করে পুলিশ।

তবে, ওজনে কম হওয়া নিয়ে ডিলার ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা একে অপরকে দায়ী করছেন। এঘটনার পর অনেক ডিলার গুদাম থেকে চাল উত্তলন করছেনা। অভিযোগ রয়েছে, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট চাল সরবরাহকারী ঠিকাদাররা যোগসাজসে মিল থেকেই বস্তায় কম দিয়ে শেলাই করছেন। বস্তার গায়ে ৩০ কেজি লেখা থাকায় অনেকেই তা মাপার প্রয়োজন করছেন না। ফলে ডিলার ও ক্রেতা উভয়ই প্রতারিত হচ্ছেন।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ইনটেক বস্তায় চাল সরবরাহ করায় তারা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। এতে প্রতি বস্তায় ৩কেজি থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত কম হচ্ছে। শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজারের ডিলার শহিদুল ইসলাম বলেন, ৪৭২ কার্ডের মধ্যে থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ২৬০বস্তা চাল ছাড়িয়ে বিতরণ শুরু করি। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা না মেপে প্রতিটি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে আমাকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু চাল বিতরণের সময় কোনো কোনো বস্তায় ৩ থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত কম পাওয়ায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

এ অবস্থায় আমাকে এখন চাল কিনে ৩০ কেজি করে কার্ডধারীদের বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে।চাল বিতরণের সময় তদারককারী কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সামনেই গোডাউন থেকে চাল এনে বিতরণকালে তাতে কম পাওয়া যায়।অপরদিকে, উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) দেবদূত রায় বলেন, কার্ডের সংখ্যা অনুয়ায়ী ৩০ কেজির বস্তা হিসেবে ডিলারদের বুঝিয়ে দেই। পরবর্তীতে কম হলে আমার তাতে কোনো দায়দায়িত্ব নেই।

এ ব্যাপারে মো. ডালিম তালুকদার, সরোয়ার তালুকদারসহ কয়েকজন ডিলারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাদ্যগুদাম থেকে চাল কম পাওয়ার কারণে অনেকেই চাল ছাড়াতে এবং বিতরণে হিমসিম খাচ্ছে।শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ৩০ কেজির ইনটেক বস্তায় ২৬ কেজি করে থাকায় কয়েকটি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে আগেই বলেছি চাল বিতরণে যেনো কোনো ধরণের ত্রুটি না হয়। এর পরও অভিযোগ ওঠায় ওজনে কম থাকা কয়েকটি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়