রাজেকুজ্জামান রতন : আজকে (শুক্ররার) গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্ট তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে রাষ্ট্রায়িত্ব শিল্পের শ্রমিকদের মজুরির সমান মজুরি ১৮ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে। আমাদের পরাধীন আমলেও রাষ্ট্রায়াত্ব শ্রমিক এবং বেসরকারি শ্রমিকের মধ্যে কোন বৈষম্য ছিলো না। কিন্তু আমরা স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে এমন দেশ তৈরি করেছি, যেখানে রাষ্ট্রায়াত্ব কারখানার শ্রমিকদের উৎপাদনের কারণে তারা পাবে ১৮ হাজার টাকা, আর বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান খাত, যেখান থেকে ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আসে, তাদের জন্য মজুরি নির্ধারণ করা হলো বেসিক ৪ হাজার ১০০ টাকা এবং আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া মিলিয়ে ৮ হাজার টাকা। আমরা মনে করি, যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখে তাদের সাথে সবচেয়ে বড় প্রহসন করা হয়েছে।
গার্মেন্ট শ্রমিকরা তাদের বাঁচার মত ন্যূনতম মজুরি পাবে না, তাতো হতে পারে না। আমরা একদেশে দুই আইন যেমন চাই না, তেমনি একদেশে দুই ধরনের মজুরি কাঠামোও চাই না। আমাদের শ্রম আইনের ১৪১ ধারা অনুযায়ী যে সকল বিষয়গুলো বিবেচনা করে মজুরি নির্ধারণ করতে হয়, সে সব বিষয়গুলো বিবেচনা রেখেই শ্রমিকদের মজুরি রাষ্ট্রায়াত্ব কারখানার শ্রমিকদের সমপরিমাণ করা উচিত। যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মজুরি ঘোষণা করা হলো সেটিও আইনসম্মত হয়নি। এটি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, অর্থনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং আইনগতভাবেও এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিচিতি : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ/মতামত গ্রহণ : ফাহিম আহমাদ বিজয়/সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :